15th Finance Commission : গ্রাম পঞ্চায়েতের অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব বিপুল টাকা, নেপথ্যে কে? – huge amount has been removed from labpur indas gram panchayat account investigation is going on


গ্রাম পঞ্চায়েতের অ্যাকাউন্ট থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা গায়েব! কেন্দ্রের পঞ্চদশ অর্থ কমিশন থেকে পাওয়া টাকার মধ্যে প্রায় ২৯ লাখ টাকা কার্যত গায়েব! আর এই বিপুল অংকের টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ার কারণে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে এলাকার উন্নয়ন!

লাভপুরের ইন্দাশ গ্রাম পঞ্চায়েতের অ্যাকাউন্টে রয়েছে একটি রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাঙ্কের লাভপুর শাখা। আর সেখান থেকেই গত মে মাসের শেষের দিক থেকে জুন মাসের প্রথম দিক পর্যন্ত দিন-বারো সময়কালের মধ্যে ২৮ লাখ ৬০ হাজার ১৩০ টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে একাধিক অ্যাকাউন্টে।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই অ্যাকাউন্টগুলি যাঁর নামে তিনি লাভপুরের ওই ব্যাঙ্কের শাখারই অন্তর্গত একটি সিএসপি চালাতেন এবং তাঁর বাড়ি ইন্দাশ পঞ্চায়েত দফতর সংলগ্ন গ্রামেই। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন , কী ভাবে এতগুলো টাকা অন্য একজনের অ্যাকাউন্টে যাওয়া সম্ভব! এদিকে বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্তও।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগের পর গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত যুবককে। বর্তমানে জামিনে ছাড়া পেয়ে বাড়িতেই আছে সে। তবে মুখ খুলতে নারাজ ওই যুবক। তার দাবি, যেহেতু বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে তাই কোনও মন্তব্য এই প্রসঙ্গে সে করতে রাজি নয়। এই প্রসঙ্গে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের যোগাযোগ করা করা হলে একই সুর শোনা গেল তাঁর কণ্ঠেও। তিনি বলেন, বিষয়টি সামনে আসার পরেই বাতিল করা হয়েছে অভিযুক্ত যুবকের সিএসপি।

খোদ পঞ্চায়েতের অ্যাকাউন্টে গচ্ছিল ছিল টাকা। ব্যাঙ্ক থেকে এভাবে কোনও ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে টাকা চলে গেলে নিরাপত্তা কোথায়?তাছাড়া দশ দিনেরও বেশি সময় ধরে লাগাতার টাকা ট্রান্সফার হলেও তা কারও নজরে এল না! কী ভাবে তা সম্ভব? ঘটনার প্রেক্ষিতে উঠছে এই যাবতীয় প্রশ্ন। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো আলোড়ন তৈরি হয়েছে। তবে পদ্ধতিগত ত্রুটি বা অন্য কোনও ভুলে টাকা চলে গেলে সেই দোষ কার? কী ভাবে এই টাকা পুনরুদ্ধার সম্ভব?উন্নয়নের খাতের টাকা ফের কি ফিরবে পঞ্চায়েতে? শুরু হবে উন্নয়নের কাজ? স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্নগুলি উঠছে।

Lakhir Bhandar : ‘জীবিত’ হলেন মৃত আয়েশা বিবি, পেলেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা!
এই ঘটনা প্রসঙ্গে ইন্দাশ গ্রাম পঞ্চায়েত এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট গৌরাঙ্গ দাস বলেন, ‘বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়। উন্নয়নের কাজ এতে ব্যাহত হয়েছে।’

অন্যদিকে, লাভপুর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শিশুতোষ প্রামাণিক বলেন, ‘আমি ৩১ অক্টোবর যোগ দিয়েছি কাজে। মে মাসের ২১ তারিখ থেকে জুন মাসের ১ তারিখ পর্যন্ত যে টাকা পেয়েছিল তা অনুমোদন ছাড়াই উঠে যায়। বিষয়টি বিচারাধীন। এই টাকা উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *