Adhir Ranjan Chowdhury : ‘খোকাবাবু বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মুখ হলে অবাক হবেন না’, অভিষেককে নিয়ে বিস্ফোরক অধীর – congress leader adhir ranjan chowdhury big comment on abhishek banerjee and tmc internal clash issue


তৃণমূলের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব ইস্যুতে যখন তোলপাড় রাজ্য রাীজনীতি, ঠিক সেই সময়ই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘নবীন-প্রবীণের যে লড়াই, সেই লড়াইয়ের স্ক্রিপ্ট তৈরি হচ্ছে বিজেপির দফতর থেকে। যে দিন থেকে খোকাবাবু দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন, ৯ ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল, তার পরের দিন থেকে পালটি খেয়েছেন, কংগ্রেসের বিরোধিতা শুরু করেছেন। আগামী দিনে অবাক হবেন না, যদি খোকাবাবু বিজেপির প্রজেক্টেড মুখ্যমন্ত্রী মুখ হন বাংলায়, অবাক হবেন না, অগ্রিম বলে রাখছি। তাই ইডি-সিবিআই খোকাবাবুর প্রতি চুপ।’ রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে খোকাবাবু বলতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিশানা করেছেন অধীর চৌধুরী।

অধীরকে জবাব কুণালের

এদিকে পালটা কুণল ঘোষ আবার কটাক্ষ করেন অধীর চৌধুরীকে। তিনি বলেন ‘অধীর চৌধুরি নিজেই বিজেপির লোক।’ এমনকী বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে যোগ রয়েছে বলেও দাবি করেন কুণাল। তাঁর কটাক্ষ,’বিজেপির দুই ভাইয়ের একজন কংগ্রেস।’ এদিন কুণালকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘তৃণমূল কংগ্রেসকে মানুষ সমর্থন করে, যে পার্টিগুলির মধ্যে কোনও গণতন্ত্র নেই, তারাই এই নিয়ে জ্ঞান দিচ্ছে।’

যা বললেন তাপস রায়…
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক ধরেই তৃণমূলের অন্দরে ‘নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব’ চলছে কি না, সেই প্রশ্নে ঘুরপাক খাচ্ছে গোটা রাজ্য রাজনীতিতে। তৃণমূলের অন্দরে দ্বন্দ্ব স্পষ্ট বলে বিরোধিতা দাবি করলেও, তৃণমূলের বেশিরভাগ নেতাই অবশ্য সেই তত্ত্ব মানতে নারাজ। যেমন তৃণমূল নেতা তাপস রায় বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাতা, তিনি দলের মুখ। সমস্ত সিনিয়র এবং জুনিয়র নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ দেখে তৃণমূলে এসেছিলেন, তিনি আমাদের প্রাণের নেত্রী। এর পরে আমি অবশ্যই বলব, বর্তমান প্রেক্ষাপটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব অনিবার্য৷ আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করব।’

Tapas Roy : ‘বিলম্বিত বোধদয়-মাঝে দলেই ছিলেন না,’ সুদীপের তীব্র নিন্দায় তাপস
শোভনদেবের ভিন্ন তত্ত্ব
আবার শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘সবসময় মনে রাখতে হবে, দ্বন্দ্বের পরেই আবার প্রীতি সম্পর্ক হয়, দ্বন্দ্ব সব জায়গাতেই আছে। সব দলেই দ্বন্দ্ব থাকবে। দু’জন মানুষকে দেখতে একরকম হয় না, তাই দ্বন্দ্ব থাকবেই। কিন্তু এই দ্বন্দ্ব নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩ বার জিতেছেন, শেষবার চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেছেন। এই বছর আমাদের লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে অন্তত বিজেপিকে শূন্যে নামিয়ে আনা।’ তবে তৃণমূল নেতারা বিভিন্ন দাবি করলেও, এই ‘দ্বন্দ্ব’ জল্পনা এত সহজে মিটবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহলের একাংশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *