জানা গিয়েছে, গত ৩০ ডিসেম্বর বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ডেঙ্গি আক্রান্ত ওই মহিলাকে। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার খোরদার বাসিন্দা। পরের দিন, অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ২৫ নাগাদ ডেঙ্গি আক্রান্ত ওই মহিলার মৃত্যু হয়। ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়ালেও স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সর্বনিম্ন।
প্রসঙ্গত, বিগত কিছু মাসে রাজ্যে একের পর এক ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর এসেছে। গত অক্টোবর মাসে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় এক তরুণ চিকিৎসকের। অনিমেষ মাজি নামে ওই তরুণ চিকিৎসক এসএসকেএম হাসপাতালের অর্থপেডিক বিভাগের পিজিটি বা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি ছিলেন। তিন দিন ধরে এসএসকেএম হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন অনিমেষ। কিন্তু চিকিৎসকের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে মৃত্যু হয় তাঁর।
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গিতে মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওরই মূলত বিপদ বাড়াচ্ছে। আর তাতেই চিন্তার ভাঁজ গভীর হচ্ছে চিকিৎসকদের কপালে। ডেঙ্গি প্রতিবারেই নিজের রূপ পরিবর্তন করে। সেই মতো এবারও ডেঙ্গির নয়া রূপ দুশ্চিন্তা বাড়ায় চিকিৎসকদের। মাসকয়েক আগে চিকিৎসকদের কেউ কেউ জানিয়েছিলেন, প্রচলিত পথে নয়, আরও ভয়ঙ্করভাবে দেহে থাবা বসাচ্ছে ডেঙ্গি। তার মধ্যে রোগীর মাল্টি অরগ্যান ফেলিওরই সবথেকে বেশি চিন্তার। এক্ষেত্রে রোগীর অবস্থার উন্নতি হতে হতে আচমকা অবনতি হয়। অর্থাৎ রোগীর শরীর কখন কেমন আচরণ করবে তা আগে থেকে বোঝা যাচ্ছে না।
এক্ষেত্রে কলকাতার একটি মেডিক্যাল কলেজের এক সিনিয়র ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বিশেষজ্ঞের মতে, যেসব ডেঙ্গি আক্রান্তের দেহে অন্য কোনও জটিলতার বদলে শুধু প্লেটলেট কমছে, তাদের ক্ষেত্রে চিন্তার বেশি নেই, কিন্তু কোনও রোগীর যদি রক্তবাহিকার মধ্যে থেকে প্লাজমা লিক করে তাহলেই তা উদ্বেগের। এছাড়াও রোগীর শরীরে হঠাৎ করে একাধিক সমস্যা দেখা দিলে, সেটিও মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওরের দিকে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে নতুন বছরের শুরুতেই ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যু স্বাস্থ্যকর্তাদের উদ্বেগ বাড়াল বলেই মনে করা হচ্ছে।