Ration Dealer Shop : ‘নিজেরা না বাঁচলে গ্রাহকদের কী ভাবে পরিষেবা দেব?’ধর্মঘটে সামিল হুগলির ৭০০ রেশন ডিলার – more than 700 ration dealer starts strike in hooghly district for indefinite time


একগুচ্ছ দাবিতে ধর্মঘটে নেমেছেন রেশন ডিলাররা। এবার ১৬ দফা দাবি নিয়ে হুগলির চুঁচুড়ায় খাদ্য ভবনে হাজির হলেন রেশন ডিলাররা। ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন হুগলির রেশন ডিলারদের অধিকাংশ। জেলায় ১২০০ রেশন দোকানের মধ্যে কমবেশি ৭০০ দোকান বন্ধ। সারা বাংলায় ২২ হাজারের মধ্যে ১৩ হাজার রেশন ডিলার ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন।

নূন্যতম আয়ের গ্যারান্টি সহ মোট ষোলো দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন রেশন ডিলাররা। আগামী ১৬ জানুয়ারি দিল্লির রামলীলা ময়দায়ে কর্মসূচিও রয়েছে রেশন ডিলারদের। তারই প্রস্তুতিতে এদিন রাজ্যের সব খাদ্য দফতরে চলে এই আন্দোলন কর্মসূচি।

এই বিষয়ে অল ইন্ডিয় ফেয়ার প্রাইসের রাজ্য ও জেলা সম্পাদক মৃণালকান্তি বোস বলেন, ‘১৬ দফা দাবি নিয়ে যতক্ষণ না রাজ্য সরকার বা খাদ্য দফতর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ততক্ষণ আমরা এই আন্দোলনে অনড় থাকব। রাজ্য ও কেন্দ্র দুই সরকারের বিরুদ্ধেই আমাদের এই আন্দোলন। সারা দেশব্যাপী পাঁচ লাখ দোকানদার আন্দোলনে নেমেছেন। বাংলায় ২২ হাজার দোকানদারের মধ্যে ১৩ হাজার দোকানদার তাঁদের দোকান বন্ধ রেখেছেন। আমাদের দাবি, ৫০ হাজার টাকা আয়ের গ্যারান্টি আমরা দাবি করেছি। এছাড়া নতুন কন্ট্রোল অর্ডার প্রত্যাহার করতে হবে ও ভূতুড়ে স্টকের প্রতিবাদে এই অবস্থান। আগামী ১৬ তারিখ দিল্লির রামলীলা ময়দান থেকে মিছিল করে পার্লামেন্ট ঘেরাও করা হবে। পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে ডেপুটেশন দেবো।’

তিনি আরও জানান, ‘দুয়ারে রেশন আমরা করলেও তা আমাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক পরিস্থিতি সহ বিভিন্ন অসুবিধার কারণে দুয়ারের রেশন করা সম্ভব হচ্ছে না। যদিও সুপ্রিম কোর্টের মামলা এখনও চলছে। আজ থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য সমস্ত রেশন দোকান বন্ধ থাকবে, যতক্ষণ না আমরা কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারছি।’ যদিও গ্রাহকদের সমস্যা হবে না বলেই দাবি করেছেন মৃণালকান্তি বোস। তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেরা যদি বেঁচে থাকতে না পারি তাহলে গ্রাহকদের পরিষেবা দেব কী ভাবে। ইতিমধ্যেই রাজ্য খাদ্য দফতরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বাকি আলোচনা চলছে, যতক্ষণ না পর্যন্ত সঠিক ফলাফল বের হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলনে আমরা অনড় থাকব।’

যদিও রেশন ডিলারদের এই অবস্থানে দুশ্চিন্তায় গ্রাহকরা। কারণ অনেকেই রেশনের খাদ্য সামগ্রীর ওপরে নির্ভর করে থাকেন। সেই জায়গা থেকে রেশন ডিলাররা দোকান বন্ধ রাখলে তাঁরা খাদ্য সামগ্রী কী ভাবে পাবেন, সেই নিয়েই দুশ্চিন্তায় গ্রাহকরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *