Ration Shop Near Me,আজ থেকে ধর্মঘটে ডিলাররা, ‘দুয়ারে রেশন’ মিলবে? মুখ খুললেন খাদ্যমন্ত্রী – fair price shopkeepers go on strike what steps taken by west bengal government


রেশন ডিলার সংগঠনের ডাকা ধমর্ঘটের জেরে মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যে রেশন পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিন দুপুর অবধি বেশ কিছু জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে পরিষেবা মেলার খবরও মিলেছে। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন ১ জানুয়ারি সোমবার থেকে বিভিন্ন দাবিতে লাগাতার ধর্মঘট ডেকেছে। যদিও সর্বভারতীয় সংগঠনের ডাকা এই ধর্মঘটের বিরোধিতা করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল এমআর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন।

কতটা প্রভাব পড়তে চলেছে এই ধর্মঘটের জন্য?

তবে সোমবার রাজ্যে এমনিতেই রেশন দোকানের সাপ্তাহিক ছুটি থাকে। ফলে ওইদিন কোনও কিছু বোঝা যায়নি। যারা আন্দোলনে সামিল জেলা শহর ও গ্রামীণ এলাকায় ‘সংশোধিত রেশন এলাকার’ ডিলাররা এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। কলকাতা থেকে ব্যারাকপুর, দুর্গাপুর,আসানসোল, হাওড়া, হুগলি শহরাঞ্চল ‘বিধিবদ্ধ রেশন এলাকা’-র মধ্যে পড়ে। রাজ্যে সংশোধিত ও বিধিবদ্ধ রেশন এলাকা মিলিয়ে মোট ডিলারের সংখ্যা ২০,২৭১। অল ইন্ডিয়া ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসুর দাবি, পশ্চিমবঙ্গে তাঁদের সদস্য সংখ্যা ১৭,২৬১। ওই ডিলারদের সবাই ধর্মঘটে অংশ নেবেন। অন্যদিকে, এম আর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে দাবি, তাঁদের সংগঠনের সঙ্গে আছেন বিধিবদ্ধ রেশন এলাকার ১৮,৭৩৫ জন ডিলার। তাঁরা সবাই মঙ্গলবার যথারীতি দোকান খুলে রেখে রেশন বণ্টন করবেন। দুয়ারে রেশন কর্মসূচিও চলবে।

কেন রেশন ধর্মঘট?

আন্দোলনকারীদের দাবি, যত দিন না পর্যন্ত রেশন ডিলারদের মাসিক ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা আয় সুনিশ্চিত হচ্ছে ততদিন আন্দোলন চলবে। অভিযোগ, এ রাজ্যে আবার পিডিএস কন্ট্রোলারের নামে রেশন দোকানদারদের উপর কার্যত মানসিক অত্যাচার করা হচ্ছে। তাও অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে ধর্মঘট প্রত্যাহার করার ব্যাপারে রাজ্য খাদ্য দফতরে যে অনুরোধ করেছিল তা মানা হয়নি। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কাছে একগুচ্ছ দাবির সমর্থনে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।

কী বলছেন রাজ্যের মন্ত্রী?

রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ এই সময় ডিজিটালকে বলেন, ‘এখনও অবধি পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার কোনও খবর আমরা পাইনি। সেরকম পরিস্থিতি হলে তখন ভাবা যাবে আমরা কী করব! তবে আমরা সংবেদনশীলভাবেই আন্দোলনকারীদের দাবিগুলি খতিয়ে দেখছি। আগেও বলা হয়েছে, এখনও বলছি, সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলে এমন কোনও আন্দোলন অর্থহীন। তবে কোনও পরিষেবায় যাতে সমস্যা না হয় তা আমরা নিশ্চিত করেছি।’

যদিও আন্দোলনকারীদের দাবি, একাধিক জায়গায় দোকান বন্ধ রেখে তাদের প্রতিবাদে অনেকেই সামিল হয়েছেন। কলকাতার আশেপাশে বহু জেলায় ৫০ শতাংশ রেশন শপ বন্ধ আছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *