Romantic Tea : সিঙ্গলরা পাবেন সঙ্গী! প্যাচ আপের মোক্ষম দাওয়াই মধ্যমগ্রামের ‘রোম্যান্টিক চা’ – romantic tea is being sold at madhyamgram food festival know recipes and other details


ধরুন প্রেমিকার সঙ্গে মন কষাকষি চলছে! বা প্রেমিক স্মার্ট ফোনে মজে প্রেমের পিণ্ডি চটকাচ্ছে! মোদ্দা কথায় প্রেমের ‘ষষ্টীপুজো’ হয়েছে। আর এই সব কিছুর একটাই দাওয়াই ‘রোম্যান্টিক চা’। আর এই চা খাওয়ার জন্য হিল্লি-দিল্লি ঘুরে বেড়াতে হবে না। কলকাতা থেকে সামান্য দূরে চলছে মধ্যমগ্রাম ফুড ফেস্টিভ্যাল। আর সেখানেই চলতি বছরের অন্যতম আকর্ষণ এই রোম্যান্টিক চা।

চা খেলেও রোম্যান্টিক হওয়া যায়! শুনতে অবাক লাগলেও সেই পানীয়র স্বাদ নিয়েও নাকি রোম্যান্স বাড়ছে যুগলদের মধ্যে। কেউ কেউ ঠাট্টা করে বলছেন, ‘এই চা খেলে কি ব্রেক আপও ঠেকানো যায়!’ দুধ চা, লিকার চা বাঙালির রোজনামচার জীবনে অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কিন্তু, তা বলে রোম্যান্টিক চা! কথায় বলে, ‘বিশ্বাসে মেলায় বস্তু-তর্কে বহু দূর!’ আর এই ফর্মুলা মেনেই এখন প্রেমিক-প্রেমিকা থেকে স্বামী-স্ত্রী, ‘জাস্ট ফ্রেন্ডস’-রাও মজেছেন চায়ে। আর এই চা বিক্রি করে রীতিমতো ভাইরাল হয়েছেন এক চা বিক্রেতা।

কোথায় গেলে পাবেন এই রোম্যান্টিক চা?

মধ্যমগ্রামে চলছে ফুড ফেস্টিভ্যাল। আর সেখানে আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু বাপিদার চায়ের দোকান। এই স্পেশাল চায়ে চুমুক দিচ্ছেন অনেকেই। আর এই দোকানের বিশেষ আইটেম ‘বাপিদার রোম্যান্টিক চা’।

চা বিক্রেতা রোম্যান্টিক বলেই কি এই বিশেষ চা! এই ভালোবাসার চায়ে ঠিক কী মেশান তিনি?

বাপি দার চায়ের দোকানে পাওয়া যায় স্পেশাল, কফি, বাটার, চকলেট চা। কিন্তু, সব কিছু ছেড়েছুড়ে দিয়ে আপাতত রোম্যান্টিক চায়ে মজে সাধারণ মানুষ। কী রয়েছে এই চায়ে? জানা গিয়েছে, বাপিদার স্থায়ী ঠিকানা খড়িবাড়ি পুরাতন ধাবা। আর সেখানেই গড়ে প্রায় প্রতিদিন কয়েকশো মানুষের ভিড় হয় এই রোম্যান্টিক চায়ের জন্য।

এদিন মধ্যমগ্রাম ফুড ফেস্টিভ্যালেও দেখা যায় চা প্রেমীদের ভিড়। চা বিক্রেতা বাপি আলি জানান, প্রায় সাত বছর ধরে তিনি এই চায়ের দোকান চালান। কিন্তু, যবে থেকে তিনি এই রোম্যান্টিক চা চালু করেছেন তাঁকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। জেলার মানুষের কাছে তা একটি ‘ব্র্যান্ড’ হয়ে উঠেছে।

সিঙ্গলরা যেমন ভালোবাসা পাওয়ার আশায় এই চায়ে চুমুক দেন তেমনই প্রেমিক-প্রেমিকারাও নিজেদের ভালোবাসা আরও গাঢ় করার আশায় আসেন এই চায়ে চুমুক দিতে। বাদ যান না স্বামী স্ত্রীরাও। আর এই দোকানের একটি স্টল লাগানো হয়েছে মধ্যমগ্রাম ফুড ফেস্টিভ্যালে। যেখানে রীতিমতো উপচে পড়া ভিড়। তবে এটি নিছকই একটি নাম বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা। কিন্তু, আবেগে ভাসতে ক্ষতি কী!



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *