এই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে জেলায় শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক চর্চা। কাঁথি পুরসভায় মোট আসন ২১টি। তার মধ্যে ১৬ জন কাউন্সিলের সম্মতি ক্রমে অনাস্থা আনা হয়। অনাস্থার বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করেন বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপির কাউন্সিলররা। তাঁদের মত, ‘চেয়ারম্যান কাটমানি তুলে দিতে পারেননি বলেই দলের এই ধরণের চিন্তাভাবনা। আমরা ইচ্ছা করলেই বোর্ড গঠন করতে পারি। কারণ অনেক কাউন্সিলর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। জনগণ চাইলেই আমরা ক্ষমতায় আসব।’
এদিকে এদিন অনাস্থার বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সুবল মান্না। তিনি বলেন, ‘যতদিন পদে রয়েছি কাজ করে যাব। দলে ও আইনে যা ব্যবস্থা রয়েছে তাই হবে।’ অন্যদিকে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি পীযূষ পণ্ডা বলেন, ‘দলীয়ভাবে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি কোনও উত্তর দেননি। তাই রাজ্য কমিটির নির্দেশেই দলের কাউন্সিলররা অনাস্থা এনেছে।’
প্রসঙ্গত, শিশির অধিকারীর সঙ্গে বর্তমানে তৃণমূলের সম্পর্ক কেমন, তা নতুন করে বলার কিছু নেই। এমনকী শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের দাবিও জানান হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এহেন শিশির অধিকারীর সঙ্গেই সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে দেখা হয় কাঁথি পৌরসভার চেয়ারম্যান সুবল মান্নার। প্রকাশ্যেই শিশির অধিকারীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করে তাঁকে ‘গুরু’ বলে সম্মোধন করেন সুবল মান্না। দলের নেতার এই ধরণের আচরণ ভালোভাবে নেয়নি তৃণমূল। যার জেরে তাঁকে শোজক করা হয়। কিন্তু সুবল সেই শোকজের উত্তর দেননি বলেই দাবি জেলা নেতৃত্বের। আর এবার তাই রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন দলেরই কাউন্সিলররা। এখন দেখার এই অনাস্থা প্রস্তাবকে ঘিরে কোনদিকে মোড় দেন কাঁথির রাজনীতি।