Supreme Court Give Notice To All Party In Kamduni Case


ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের পর কামদুনি মামলার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হয় সর্বোচ্চ আদালতে। এদিন দোষীদের ফের গ্রেফতারির নির্দেশ জারি করতে রাজি হয়নি বিচারপতি গভইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। তবে কামদুনি মামলায় সব পক্ষকে নোটিশ ইস্যু করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

২০১৩ সালে ৭ জুন কামদুনির ঘটনায় কেঁপে উঠেছিল গোটা রাজ্য। কামদুনির এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ধর্ষণের পর তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় রীতিমতো উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে পথে নেমে আন্দোলন করেছিলেন কামদুনির মানুষজন। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যজুড়ে। এই আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছিলেন টুম্পা ও মৌসুমী কয়ালরা।

হাইকোর্টের রায়

কামদুনি মামলায় চলতি বছর রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, নিম্ন আদালতে ফাঁসির সাজা পাওয়া সইফুল আলি এবং আনসার আলির সাজা কমানো হচ্ছে এবং তাঁদের আমৃত্যু কারাদণ্ড ঘোষণা হচ্ছে। অন্যদিকে, নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল ইমানুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্করকে। তাদেরও খালাস করে দেওয়া হয়। তাঁরা দশ বছর জেল খেটে নেওয়ায় খালাস করে দেওয়া হয় বলে জানানো হয়।

এই ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবার এবং কামদুনির প্রতিবাদী মুখরা রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে। মামলার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। এদিন মামলাটির প্রথম শুনানি হয়।

ইতিমধ্যেই দিল্লিতে পৌঁছেছেন নির্যাতিতার পরিবার, শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায় এবং কামদুনি আন্দোলনের অন্যতম মুখ মৌসুমী কয়ালও দিল্লিতে গিয়েছেন। মৌসুমী এদিন রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ফের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

Kamduni Case: কামদুনিকাণ্ডে সুপ্রিম-শুনানির আগে দিল্লির পথে কামদুনির মৌসুমীরা!

তিনি বলেন, ‘আজ এখানে রাজ্যের কোনও উকিল উপস্থিত ছিলেন না। রাজ্য পুলিশ বা CID যে তদন্ত করেছে তাতে ভুল থাকে বলে মনে করছি।’ এদিন তাঁরা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলার জন্য আবেদন জানিয়ে চিঠি দিতে চলেছেন।

West Bengal Teacher Salary : ‘বিশেষ পরিস্থিতিতে’ অনুপস্থিতির জন্য মেলেনি বেতন! প্রাথমিক শিক্ষকের আবেদনে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ হাইকোর্টের
অন্যদিকে প্রদীপ বলেন, ‘কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। পশ্চিমবঙ্গবাসীও তাই বলছে।’ উল্লেখ্য, কামদুনি নিয়ে বঙ্গ রাজনীতি তোলপাড় হয়। রাজ্য পুলিশের তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে গেরুয়া শিবিরের একাংশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *