সোমবার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’দেশে রাজনীতির যা পরিবেশ, এই পরিবেশে সবসময় আলোচনায় প্রথমে রাখতে হয় বাংলাকে, কারণ বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। যেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন না, দেশে রাজনীতির যা গতিপ্রকৃতি, বাংলা ছাগলের ৩ নম্বর বাচ্চা হয়ে মায়ের দুধ খাওয়ার জন্য পাশ থেকে গুঁতোবে।’
সুদীপের এই মন্তব্যের পরেই শোরগোল পড়ে যায় বিভিন্নমহলে। মঙ্গলবার এই প্রেক্ষিতে বিধায়ক তাপস রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একজন জাতীয় পর্যায়ের নেতা থাকতে, এটা হবে কেন? আমি বুঝতে পারলাম না একথা কেন তিনি বললেন? তাহলে বিলম্বিত বোধদয়, মাঝে ৬-৭ বছর উনি (সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়) দলে ছিলেন না, তাহলে তখন তিনি এটা উপলব্ধি করেননি! পরবর্তীকালে এটা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন বলেই ২০০৯-এ ফিরেছিলেন। কারণ ৬ বছর সাসপেন্ড হওয়ার ক্ষেত্রে তিনি বলেছিলেন, দলটা ৬ বছর থাকবে না। আরও অনেক কিছু বলেছিলেন, সেই সমস্ত কাগজপত্র আমাদের কাছে আছে, ওঁরা স্বামী-স্ত্রী মিলে দলের বিরুদ্ধে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যারে বিরুদ্ধে অনেক কিছু বলেছিলেন।’
‘সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একজন জাতীয় পর্যায়ের নেতা থাকতে, এটা হবে কেন? আমি বুঝতে পারলাম না একথা কেন তিনি বললেন? তাহলে বিলম্বিত বোধদয়, মাঝে ৬-৭ বছর উনি (সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়) দলে ছিলেন না, তাহলে তখন তিনি এটা উপলব্ধি করেননি!
তাপস রায়
তাপসের আরও কটাক্ষ, ‘ওনার (সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়) ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কোনও সমস্যা হতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন না কেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেয়ে কম করে ১০-১২ বছরের বড় উনি, একথা বললেন কী করে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সকলের আয়ু নিয়ে বেঁচে থাকুন, আমাদের নেতৃত্ব দিন, বাংলার নেতৃত্ব দিন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে, উনি যে কথা বলেছেন, ওনার সেই হাল হতে পারে। আমি নিন্দা করছি। আমাদের আয়ু যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেগে যায়, তিনি যেন দীর্ঘদিন সুস্থ থাকেন, দীর্ঘদিন বাংলাকে নেতৃত্ব দেন, ভারতকে নেতৃত্ব দেন।’
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের অভ্যন্তরে ‘নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব’ ইস্যুতে বিগত কয়েকদিন ধরেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। দলের অভ্যন্তরে কোনও আড়আড়ি ফাটল তৈরি হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ। তারই মাঝে প্রকাশ্যে দলের সাংসদের মন্তব্যকে দলেরই এক বিধায়কের সমালোচনার ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়াল রাজ্য রাজনীতিতে।