ওই বৈঠকেই বিভিন্ন উন্নয়নের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ডিএম-দের নির্দেশ দেন রাজ্যর নবনিযুক্ত মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনের বৈঠকে জেলাশাসকদের সতর্ক করে দিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টি নিশ্চয়ই পুলিশ সুপাররা দেখবেন। তার পাশাপাশি, আপনারাও প্রতিনিয়ত এসপি-দের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবেন। জেলার কোথাও যাতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি না-ঘটে, সেটা আপনাদের ভালো ভাবে খেয়াল রাখতে হবে।’
প্রশাসনে অভিজ্ঞদের অনেকে বলছেন, জেলাশাসকরা আইনশৃঙ্খলার দেখভাল করবেন, এটা নতুন কিছু নয়। এটা তাঁদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। তবে বেশ কিছু কাল যাবৎ জেলাশাসকদের একটা বড় অংশ কেবলই উন্নয়ন ও প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। কিন্তু সার্বিক ভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব জেলাশাসকদের- নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন, সাবেক ঘরানায় ফিরতে চাইছেন তিনি। যে কারণে স্বরাষ্ট্রসচিবের এই নির্দেশের পর প্রশাসনিক মহলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে।
নবান্নের এক শীর্ষ আমলার কথায়, ‘স্বরাষ্ট্রসচিব যে ভাবে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব জেলাশাসকদের উপর দিলেন, তাতে আইপিএস অফিসাররা মনোক্ষুণ্ণ হতে পারেন। অনেকের মনে হতে পারে, এখন থেকে হয়তো ডিএম-দের দিয়ে এসপি-দের উপর নজরদারি চালানো হবে। তাতে জেলার ডিএম এবং এসপি-র মধ্যে ঠান্ডা লড়াই বাধতে পারে।’
এ দিনের বৈঠকে মুখ্যসচিব গোপালিকা বলেন, ‘জেলাগুলোয় সরকারি উন্নয়নমূলক যে সব কাজ চলছে, সেগুলো দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। চাইলে জেলাশাসকরা নিজেরাই উন্নয়নের পরিকল্পনা তৈরি করতে পারেন।’