Dilip Ghosh : ‘কে বলল ২৫, টার্গেট দেওয়ার আমি কে!’ নিজের মন্তব্য থেকে ডিগবাজি দিলীপের – bjp leader dilip ghosh denies his previous comment on seat winning target in lok sabha election 2024


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দলকে বঙ্গ থেকে ৩৫টি আসন জয়ের টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি রাজ্যে ২৫টি আসন জয়ের দাবি করেছিলেন। এবার নিজের সেই মন্তব্য থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

বুধবার বাংবাদিকদে প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কে বলল ২৫টি! আমি তো আপনাদের সামনেই বলেছি। আমি টার্গেট দেওয়ার কেউ নই, আমি টার্গেটে পৌঁছনর লোক। গতবারে অমিত শাহ টার্গেট দিয়েছিলেন ২২, আমরা ১৮-য় পৌঁছেছিলাম। এবারে উনি ৩৫ টার্গেট দিয়েছেন, আমরা সেই ৩৫-এ পৌঁছনোর জন্য লড়াই করছি। যাঁরা বিভ্রান্তিতে আছেন, বিভ্রান্তি তৈরি করছেন, তাতে বিজেপির কিছু যায় আসে না। অনেকে তো বিজেপির কে কোথায় দাঁড়াবেন, সেটাও ঠিক করে দিচ্ছেন।’

তবে এদিন এই কথা বললেও নতুন বছরের প্রথম দিনে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন, ২০২৪-এ তাঁদের টার্গেট একদম পরিষ্কার, ২৫টা আসন জয়। দলের কর্মীরাও সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন। আর দিলীপের মুখে ২৫টি আসনের কথা শুনেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিকমহলে। কারণ মাস কয়েক আগে রাজ্য সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সিউড়িতে এক জনসভা থেকে শাহ স্পষ্ট জানিয়ে দেন আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে তাঁদের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩৫। বিজেপি সূত্রে জানা যায়, শাহ দলীয় নেতৃত্বকে জানান, পরিস্থিতি তৃণমূলের বিপরীতে যাবে। যতটা তাঁরা কল্পনা করছেন, তার চেয়েও খারাপ হতে পারে পরিস্থিতি। বিজেপি সূত্রে আরও খবর, শাহ নাকি এমনটাও দাবি করেছিলেন যে, কোথাও গিয়ে যদি আটকেও যায় তাহলেও সেই সংখ্যাটা ৩৫-এর চেয়ে খুব একটা কম হবে না।

এমনকী কিছুদিন আগে রাজ্যে এসেও সেই ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রার কথাই বলেন অমিত শাহ। দলের আইটি সেলের সঙ্গে বৈঠকে অমিত শাহ দাবি করেন, ‘২০২৪-এ বিজেপি বাংলায় ৩৫-র বেশি আসন পাবে।’ রাজ্য নেতাদের শাহ বলেন, ‘৩৫টি আসন দিন, মোদীজি সোনার বাংলা গড়ে দেবেন।’

অন্যদিকে এদিন তৃণমূলের ‘নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব’ ইস্যুতে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘পুরনো সেনাপতির রিটায়ার করার বয়স হয়ে গিয়েছে। তিনি নিজে বা তাঁর সেনাপতিরা সেটা মানতে চাইছে না। পরিবার থেকে দেশ, নতুনদের জায়গা দিতে হয়। না দিলেই সংঘর্ষ হয়। যেটা এখন তৃণমূলে হচ্ছে। ক্ষমতা কেউ ছাড়তে চাইছে না। কেউ পদত্যাগের কথা বলছে। কেউ দেহত্যাগের কথা বলছে। পাবলিক এদের ত্যাগ করলে তবে জ্ঞান হবে। এই সব পার্টি বেশিদিন না থাকাই ভালো।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *