মঙ্গলবার রসুলপুর এলাকা সমেত আশপাশের গ্রামের বেশ কিছু প্রতারিত গ্রাহক এসে পোস্ট অফিসে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। প্রতারিতদের দাবি, এই পোস্ট অফিসে বসেই টাকা নিয়েছে মনোজিৎ। তাঁদের পাশ বইয়ে স্ট্যাম্পও মেরে দিয়েছে। দলুইবাজারের বাসিন্দা টুলু শর্মা বলেন, ‘মনোজিতের হাতে পোস্ট অফিসেই আমি সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। সেই টাকা এখন জমা হয়নি বলে আমাদের পোস্ট মাস্টার জানাচ্ছেন। এর দায় কে নেবে? কেন একজন বহিরাগত লোক অফিসের ভিতরে ঢুকবে?’
এদিন পোস্ট অফিসে আসা বিক্ষোভকারীদের পোস্ট অফিসের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় মনোজিৎ মিদ্দে ভারতীয় ডাক বিভাগের কর্মী নন। তিনি একজন ডাক জীবন বিমার এজেন্ট। ফলে তাঁর কাছে কোনও গ্রাহক যদি ফিক্সড ডিপোজিট বা অন্য কোনও সেভিংসের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করার জন্য টাকা দিয়ে থাকে তা হলে তার দায় পোস্ট অফিসের উপরে বর্তাবে না।
এদিন পোস্ট অফিসে হাজির হওয়া অনেক গ্রাহকই কর্তৃপক্ষের এই জবাবে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সন্ধ্যা হাজরা নামে এক মহিলা বলেন, ‘আমি বহু কষ্ট করে মেয়ের বিয়ে দেব বলে দেড় লক্ষ টাকা রেখেছি। এখন আমাকে পোস্ট অফিস থেকে বলা হচ্ছে তাদের কাছে টাকা জমা পড়েনি। এই অফিসেই টাকা নিয়েছে মনোজিৎ।
পোস্ট মাস্টারকে দায়িত্ব নিতে হবে। টাকা না-পেলে এখানেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করব।’ এদিন বিক্ষোভের খবরে ঘটনাস্থলে আসে মেমারি থানার পুলিশও। বিক্ষোভরত গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা পরিস্থিতির সামাল দেন।