এই বিষয়ে হাওড়া পুরনিগমের জল সরবরাহ বিভাগের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘জরুরি ভিত্তিতে কেএমডিএ দ্বারা সালকিয়া ভূগর্ভস্থ জলাধারের ভিতর অবস্থিত পুরনো জলসরবরাহ করার পাইপ স্থানান্তরকরণ ও নতুন পাইপ সংযোগ করার কাজের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার ৪ জানুয়ারি ২০২৪, সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৯টা অবধি ওয়ার্ড নম্বর ১ থেকে ৬, ৭ (আংশিক) ও ওয়ার্ড নম্বর ১০ থেকে ১৬, সালকিয়া ভূগর্ভস্থ জলাধার থেকে জল সরবরাহ বন্ধ থাকবে। পরের দিন ৫ জানুয়ারি ২০২৪ শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ওই সমস্ত ওয়ার্ডে জলসরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই হাওড়ার ওই সমস্ত ওয়ার্ডগুলিতে বাসিন্দাদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও সন্ধ্যের দিকে হওয়ার দিনের বেশিরভাগ কাজ সেই সময় মিটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপরেও জল সংকটের আশঙ্কা কমবেশি থেকেই যাচ্ছে। যদিও এখন শীতকাল থাকায়, খুব বড় কোনও সমস্যা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। সাধরণ মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য বুধবার থেকেই জনসাধারণের উদ্দেশে প্রচার করা শুরু হয়েছে।
গত নভেম্বরে কলকাতাতেও ছিল জল বন্ধ
এর আগে গত ২ ডিসেম্বর রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য শহর কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পানীয় জল বন্দ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কলকাতা পুরসভার মোট ১৮টি ওয়ার্ডে। তবে সাধারণ মানুষের যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয় সেই কারণে পুরসভার তরফে জলের গাড়ি পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে।
যে ওয়ার্ডগুলিতে জল সরবরাহ বন্ধ রাখা হয় সেগুলি হল, ৫৭, ৫৮, ৬৬, ৬৭, ৯১, ৯২, ৯৯, ১০০, ১০১, ১০২, ১০৩, ১০৪, ১০৫, ১০৬, ১০৭, ১০৮, ১০৯ এবং ১১০। জলসরবরাহ বন্ধ থাকে পিকনিক গার্ডেন, আনন্দপুর, মুকুন্দপুর, মেট্রোপলিটন, পাটুলি, গড়িয়া, হাটগাছিয়া, তোপসিয়া, চাইনাটাউন, দুর্গাপুর, বা বাঘাযতীন এলাকা নিউ গড়িয়া, আরুপোতা, বৈষ্ণবঘাটা, রামলীলাবাজার, কসবা, সন্তোষপুর, হালতু, আজয়নগর, পঞ্চসায়র, পঞ্চাননগ্রাম, সার্ভে পার্কের মতো এলাকা।