ডিওয়াইএফআই-এর ব্রিগেডের সভার আগে শেষ হয়েছে রাজ্যজুড়ে তাদের ইনসাফ যাত্রা। সিপিএমের যুব সংগঠনের দাবি, দলীয় কর্মসূচিতে আর্থিক সাহায্যের জন্য এক লক্ষ পরিবারের কাছে তাঁরা কৌটো পৌঁছে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি ডিজিটাল অর্থসাহায্যের জন্য প্রকাশ করা হয়েছিল কিউআর কোডও। সব মিলিয়ে কতটা অর্থ সাহায্য মিলল এবং কতটা খরচ হলো—তার পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেবও প্রকাশ করা হবে বলে এদিন দাবি করেছেন মীনাক্ষী।
তাঁর কথায়, ‘রাজ্যে যখন নিয়োগ থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি হচ্ছে, তখন রাজনৈতিক স্বচ্ছতার জায়গা থেকে আমরা এই তালিকা প্রকাশ করব।’ তবে ৭ তারিখ ব্রিগেড মঞ্চ থেকেই খরচের খতিয়ান তুলে ধরা হবে কি না, তা খোলসা করেননি মীনাক্ষী। ডিওয়াইএফআই অতীতেও ব্রিগেডে সমাবেশ করেছে। বাম জমানায় সিপিএমও বহু বড়মাপের কর্মসূচির আয়োজন করেছে এ রাজ্যে।
খুব বড় আকারে না হলেও তখন সিপিএমের একাংশের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্মসূচির আয়-ব্যয়ের খতিয়ান জনসমক্ষে আনতে দেখা যায়নি তাদের। সে দিক থেকে এদিন মীনাক্ষীর ঘোষণা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ব্রিগেডে সভা করার অনুমতির বিষয়ে কিছুদিন আগে পর্যন্তও সংশয় ছিল। মীনাক্ষী অবশ্য এদিন জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় অনুমতি মিলেছে। তিনি জানান, রবিবার সাতটি এলাকা থেকে মিছিল হবে। হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন থেকে দু’টি বড় মিছিল ঢুকবে ব্রিগেডে। তা ছাড়া খিদিরপুর, হাজরা মোড়, সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যার, সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন এবং পার্ক সার্কাস থেকে আরও সাতটি মিছিল যাবে ব্রিগেডে।
বাম শিবিরের এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘সবই তো বুঝলাম। কিন্তু ভোটবাক্সে এর কোনও প্রভাব পড়বে কি! বাম ভোট তো রামে চলে যাবে। ব্রিগেডে ওইদিন যাঁরা আসবেন সভা শুনতে, তাঁরাই তো সবাই সিপিএমকে ভোট দেবেন না। বামেরা যাই করুক, কোনও কিছুতেই কিছু হবে না।’