বড়দিনে পূর্ব মেদিনীপুরে মদ বিক্রি হয়েছিল চার কোটি ৬২ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৮ টাকার। কিন্তু, নিউ ইয়ার ইভ এবং নিউ ইয়ারের চিত্রটা অল্প ভিন্ন। সাধারণত এই সময় বেশি ব্যবসার আশা করা হয়। কারণ, অনেকেই টানা দুই দিন ছুটি পেয়ে থাকেন।
কিন্তু, চলতি বছর পূর্ব মেদিনীপুরে যেন উলোট পুরান। সেখানে ৩১ ডিসেম্বর অর্থাৎ বছরের শেষ দিনে মদ বিক্রি হয়েছে চার কোটি ৬১ লাখ ৯ হাজার ৯৩১ টাকার। এর মধ্যে দেশি মদ ছিল ৬৮ হাজার ৩৪৭.৮৬ ব্যারল লিটার এবং বিদেশি মদ ছিল ৪৯ হাজার ৮৭.০৫ ব্যারল লিটার। বিয়ার বিক্রি হয়েছে ২৪ হাজার ৬৭৬.৯৩ ব্যারল লিটার।
অন্যদিকে ১ জানুয়ারি মদের বিক্রি আরও কমেছে জেলায়। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরে মদ বিক্রি হয়েছে চার কোটি ২৮ লাখ ৫৫ হাজার ৩৩৭ টাকার। এদিন জেলাজুড়ে ২৮১টি দোকান খোলা ছিল। তাতে দেশি মদ বিক্রি হয়েছে ৬৫ হাজার ৩১৩.২২ ব্যারল লিটার, বিদেশি মদ বিক্রি হয়েছে ৪৬ হাজার ৯৮.৮২ ব্যারল লিটার এবং বিয়ার বিক্রি হয়েছে ২৪ হাজার ৩৮৭.৬৫ ব্যারল লিটার।
কেন কমল নিউ ইয়ারে ব্যবসা?
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কেন নিউ ইয়ারে ব্যবসা কমল পূর্ব মেদিনীপুরে? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে। তবে লক্ষ্মীলাভের অঙ্কটা নেহাত মন্দ নয়, মনে করছে আবগারি দফতরের একাংশ। ২৪ ডিসেম্বর শুধুমাত্র পূর্ব মেদিনীপুরে মদ বিক্রি হয় চার কোটি ৩৫ লাখ ৮৮ হাজার ৯৭ টাকার । বিক্রির নিরিখে বিদেশি মদকে টেক্কা দেয় দেশি মদ।
অর্থাৎ মদ বিক্রির নিরিখে বড়দিনের ছুটির সময় নিউ ইয়ারকে টেক্কা দিয়েছে। এর একটা অন্যতম কারণ হতে পারে বড়দিনের সময় তিনদিন ছুটি পেয়েছিলেন অনেকেই। ফলে দিঘা, মন্দারমণির মতো সৈকতে পর্যটকদের আনাগোনা অনেক বেশি ছিল।
উল্লেখ্য, নিউ ইয়ারে যাতে কোনওরকম অশান্তির ঘটনা না ঘটে সেই কারণে ছিল অতিরিক্ত পুলিশি নজরদারি। পাশাপাশি জায়গায় জায়গায় নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।