Manoranjan Bapari : ‘বলাগড়ের ফুলনদেবী…’, এবার মুখ খুললেন মনোরঞ্জনের নিশানায় থাকা তৃণমূল নেত্রী – hooghly tmc leader runa khatun answered against allegation against her from mla manoranjan bapari


তাপমাত্রার পারদ কিছুটা নামলেও হুগলি জেলার আবহাওয়া বেশ খানিকটা গরম হল বুধবার। উপলক্ষ্য, হগলির বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী এবং স্থানীয় যুব নেত্রীর বাদানুবাদ। দলে যখন নবীন-প্রবীণ সংঘাত তুঙ্গে, তখনই আরেক আদি-নব্য সংঘাতে সরগরম বলাগড়। জেলা পরিষদের সদস্যা রুনা খাতুনের নামে গুচ্ছের অভিযোগ এনেছেন সাহিত্যিক তথা বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। পালটা, আক্রমণ তৃণমূল যুব নেত্রীর।

কী বলেছেন মনোরঞ্জন?

এদিন ফেসবুক একটি বিস্ফোরক পোস্ট করেন মনোরঞ্জন। সেখানেই দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মনোরঞ্জন আগামী ৭ জানুয়ারি কোনও একটি সিদ্ধান্ত জানাবেন বলেও ইঙ্গিত দেন। এরপরেই যুব নেত্রী রুনা খাতুনকে নিয়ে বলেন, ‘ সেই যে- বলাগড়ের ফুলন দেবী ! যে সাথে কুড়ি পঁচিশজন সার্ফ শুটার নিয়ে ঘোরে, যে আমাকে মহিপাল পুরে জনসভা করে মাটিতে পুঁতে দেবে বলেছে ! হয় সে আমাকে সত্যি সত্যিই পুঁতে দেবে, আর তা না হলে আমি তাকে তার রাজনৈতিক জীবন থেকে রিটায়ার্ড করিয়ে দেব। দেখবো তাঁর কলকাতার ‘বাবু’ তাঁকে কি ভাবে বাঁচায়।’

কী বললেন রুনা?

রুনা খাতুন এদিন জানান, ওঁর অনৈতিক কাজে আমি হয়তো বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছি, সেটাতে হয়তো ওঁর সমস্যা হচ্ছে, সেই কারণে আমার নামে সমস্ত কিছু দায় চাপিয়ে পার পেয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। রুনা বলেন, ‘উনি নিজেই নিজের গায়ে কাদা ছুঁড়ছেন। ওঁর একটা মানসিক সমস্যা আছে। আক্রমণ ছাড়া উনি থাকতে পারেন না।’ পাশাপাশি, যে অভিযোগগুলি বিধায়ক তুলছেন, তার আদৌ কোনও প্রমাণ আছে কিনা, সে ব্যাপারেও সন্দেহ প্রকাশ করেন যুব নেত্রী।

Manoranjan Bapari : ‘এবার এসপার ওসপার!’ দলের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ মনোরঞ্জনের?
তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ‘লড়াই’ কি সংকটে ফেলে দেবে তৃণমূল কংগ্রেসকে? যুব নেত্রী জানান, এরকমটা ভাবার কোনও কারণ নেই। পুরো বিষয়টি দলকে জানানো হয়েছে। দল নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেবে। যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেই অনুযায়ী কাজ হবে বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে, আগামী ৭ জানুয়ারি বলাগড়ের বিধায়ক কোন বার্তা নিয়ে আসেন, সে ব্যাপারেও শুরু হয়েছে গুঞ্জন। বিষয়টি নিয়ে যুব নেত্রীর বার্তা, উনি কি বলবেন সেটা ওঁর বিষয়। তবে উনি যেন কোথাও না লুকিয়ে এখানকার পার্টি অফিসে এসে সেই ফেসবুক লাইভ করেন। সেই সৎ সাহস ওঁর আছে তো, প্রশ্ন তোলেন তিনি। সব মিলিয়ে দলের কোন্দল এমন মাত্রায় পৌঁছেছে যা নিয়ে চিন্তিত জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
তবে তৃণমূলের এই কোন্দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের কিছু করতে হবে না। ওঁরা নিজেরাই নিজেদের দুর্নীতি ফাঁস করে যাবে। এই জেলায় এত দুর্নীতি এঁরা করেছে, যার জন্য দলের তিনজন নেতা এখন নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলে গিয়েছেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *