MNREGA,১০০ দিনের টাকা আটকে কেন? বাংলায় এসে খোলসা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী – union minister sadhvi niranjan jyoti gives explanation about the hold of mgnrega project money


রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। আর তিনি রাজ্যে আসার পর ফের ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে চর্চা শুরু। মঙ্গলবারই রাজ্যে এসেছেন সাধ্বী নিরঞ্জন। বকেয়া ১০০ দিনের কাজের টাকা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তের তিনি বলেন, ‘আমরা আজও বলছি, যাঁরা মনরেগাতে দুর্নীতি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করুন, আমরা দিতে প্রস্তুত। কিন্তু জানি না কেন মমতাদি করতে চাইছেন না। ক্ষতি এখানকার মানুষের হচ্ছে। হতে পারে যে দুর্নীতি হয়েছে, সেখানে হয়ত তাঁর কেউ নিজের লোক রয়েছেন।’

কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে বলে যে অভিযোগ রাজ্যের তরফে করা হচ্ছে, তাও সরাসরি খারিজ করে দেন সাধ্বী নিরঞ্জন। তিনি বলেন, ‘আমরা টাকা আটকাইনি। যে বিষয়টি আছে, সেটা আগে বসে সমাধান করুন। আমাদের ২ জন আধিকারক রয়েছেন, আর উনি ২ জন আধিকারিককে দিয়েছেন। যেখানে যেখানে গণ্ডগোল রয়েছে সেগুলি আগে বসে দেখা হবে। দুর্নীতি হয়েছে, প্রধামন্ত্রী আবাস যোজনাকে বাংলার আবাস যোজনা করে দেওয়া হয়েছে।’

কালীঘাটে যান সাধ্বী
বুধবার কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেখানে সাংবাদিকদের সামনে ফের একবার তৃণমূল তথা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। কয়েক মাস আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান তৃণমূলের প্রতিনিধ দল। সঙ্গে ছিলেন ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকরা। কিন্তু অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও সাক্ষাৎ করেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এমনকী তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে কৃষিভবন থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। যার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজনীতে।

‘ধরনাই প্রধান উদ্দেশ্য’
এদিন সেই প্রসঙ্গে সাধ্বী দাবি করেন, সেই দিন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করবেন বলে বসেছিলেন তিনি। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন,’ওরা প্রথমে বলেছিল, ৫ জন দেখা করবে, তারপর বলল ১০ জন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন বলেছিলেন, আমি রাজিও হয়েছিলাম দেখা করতে। তারপর ওরা বলল, প্রতিনিধি নয়, জনতার সঙ্গে দেখা করতে হবে।’ এক্ষেত্রে বাংলার মানুষের ভালো করা নয়, ধরনা দেওয়াই তৃণমূলের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বলে দাবি করেন সাধ্বী।

পালটা দিলেন মহুয়া
যদিও সাধ্বীর এই দাবি পুরোপুরি খণ্ডন করে দেন তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। মহুয়া বলেন, ‘দিল্লিতে তাঁর সঙ্গে দেখা করার সময় ঠিক কী হয়েছিল, তাই নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী একইরকমভাবে মিথ্য বলে যাচ্ছেন দেখে আমি অবাক। পশ্চিমবঙ্গে থেকে প্রতিনিধি দল আগে থেকে সময় নিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যায়। প্রবেশের আগে আমাদের প্রত্যেকের সিকিউরিটি চেকিং হয়। আমরা প্রায় ৩ ঘণ্টার বেশি অপেক্ষা করি। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে বৈঠক না করেই বেরিয়ে যান। আমরা তাঁকে দেখা করার জন্য বার্তা পাঠাই। কিন্তু তিনি রাজি হননি। বাংলার মানুষের টাকা আটকে রাখা লজ্জাজনক। আর বৈঠকের দিন যা হয়েছিল এবং আগে থেকে সময় নেওয়ার পরেও বাংলার প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা না করা আরও লজ্জাজনক।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *