পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ জানুয়ারি লালগড়ের কাঁসাই নদীর পাড়ে পিকনিক করতে গিয়ে প্রচুর মদ খেয়েছিলেন ধৃত পাঁচ যুবক। পিকনিকে আসা বাকিরা বাড়ি ফিরে গেলেও তাঁরা ফিরতে পারেননি। সন্ধ্যা গড়িয়ে যাওয়ার পরে মদ্যপ অবস্থায় পাঁচ যুবকের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারামারি হয়। তাতে সামান্য চোট পান কেউ কেউ। তাঁরা সোজা চলে যান লালগড় গ্রামীণ হাসপাতালে।
এর পরে সেখানে শুরু হয় মদ্যপদের তাণ্ডব। তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরুর দাবি জানিয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন তাঁরা। কর্তব্যরত নার্সদের হাত ধরে টানাটানিও করা হয় বলে অভিযোগ। প্রতিবাদ করায় কর্তব্যরত চিকিৎসক দিলীপকুমার ভক্তাকে হেনস্থা করেন তাঁরা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে হাসপাতাল থেকে খবর দেওয়া হয় লালগড় থানায়। পুলিশ এলে প্রথমে মদ্যপ যুবকেরা তাঁদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করে।
ডাক্তার, নার্স, পুলিশকর্মী সবাই অল্পবিস্তর হেনস্থার শিকার হন। এর পরে পুলিশ পাঁচ জনকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। চিকিৎসক দিলীপকুমার ভক্তা বিষয়টি নিয়ে লালগড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ পাঁচ যুবককে রাতেই গ্রেপ্তার করে। ধৃত পাঁচজন যুবককে মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম বিচারকের এজলাসে তোলা হয়।
পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, সরকারি কর্মীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে। সরকারি কৌঁসুলি পবিত্রকুমার রানা বলেন, ‘বিচারক পাঁচ যুবকের জামিন খারিজ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।’