নিয়োগে কেন বিলম্ব?
আসলে এই পদগুলির জন্য আবেদন করেছিলেন লাখ লাখ আবেদনকারী। সংখ্যাটা ছিল প্রায় তিন লাখের বেশি। সেখানে ফেসিলিটি ম্যানেজার পদে আবেদন করেন দুই লাখ ৬২ হাজার এবং ওয়ার্ডেন পদে আবেদন করেন ৩১ হাজার।
স্বাভাবিকভাবেই এই বিপুল সংখ্যক আবেদনকারীদের জন্য পরীক্ষার আয়োজন করা, পরীক্ষা নেওয়া ছিল বিপুল ব্যয়সাধ্য বিষয়। এর মাঝেই হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের হিসাব মোতাবেক দুটি পদে নিয়োগের জন্য প্রায় দশ কোটি টাকা খরচ হতে পারে। ফলে এই নিয়োগের জন্য পরীক্ষা এবং আয়োজন বাবদ অর্থ কে দেবেন? তা নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। এই আঁতান্তরের হাত থেকে বাঁচার জন্য রাজ্যের থেকে অর্থসাহায্য চায় বোর্ড।
সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করার পর অর্থসাহায্য করার জন্য রাজি হয় রাজ্য। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই সেই আশ্বাস গিয়ে পৌঁছেছে বোর্ডের কাছে। ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে যে সমস্যা উঠে আসছিল তা মিটেছে।
কী ভাবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে তা নির্দিষ্ট করার জন্য ১১ জানুয়ারি ওয়েবল, ডব্লুটিএল-এর পাশাপাশি অন্যান্য তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্তারা একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করতে পারে। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, যাতে আবেদনকারীদের কোনও অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয় সেই কারণে এই পরীক্ষার সেন্টার রাজ্যজুড়ে করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
তবে এখনও এই প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। তবে আবেদনের সঙ্গে সঙ্গে সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড। পরীক্ষা সংক্রান্ত এই জট কাটলে আবেদনকারীরা অনেক অনেকটাই স্বস্তি পাবেন এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যে শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে তা পূরণ হলে পরিষেবার দিক থেকে অনেক উন্নত হবে সার্বিক বিষয়, জানা যাচ্ছে এমনটাই।