Abdul Karim Chowdhury : ‘ধৈর্য ধরুন…,’ নবীন-প্রবীণ ইস্যুর মাঝেই অভিষেককে পরামর্শ করিমের – tmc mla abdul karim chowdhury advices abhishek banerjee to keep patience


তৃণমূলের ‘নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব’ নিয়ে যখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি ঠিক সেই সময় মুখ খুললেন দলের আরও এক বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিলেন ‘ধৈর্য ধরা’র বার্তা। কুণাল ঘোষকে নিশানা করলেন ‘ননসেন্স’ বলে।

বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘যে সেনাপতি হয়েছে, সে বাচ্চা, বালক। আমি আগেই বলেছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে, আপনি একে সঙ্গে রাখুন, কিন্তু সমস্ত ক্ষমতা কোনওদিন দেবেন না। আস্তে আস্তে ট্রেনিং পাবে উঠবে, কিন্তু ট্রেনিং পাওয়ার আগেই যদি উঠে যায়, সেটা অসম্ভব। এটা কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। অভিষেকের সম্মন্ধে বলব, Keep Patience, Have Patience.’

প্রসঙ্গত, এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় হাজির না হয়ে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরী। গত এপ্রিল মাসে তাঁর বাড়ি থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় দেখা যায়নি করিম চৌধুরীকে, বরং নিজের বাড়িতে কর্মী সমর্থকদের নিয়েই বসে ছিলেন তিনি। সেই সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনি না, কোনও দিন দেখা হয়নি বলেও মন্তব্য করেছিলেন করিম।

পাশাপাশি এদিন কুণাল ঘোষকে নিশানা করে করিম চৌধুরী বলেন, ‘He is a Nonsense, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত অবিলম্বে বহিষ্কার করা।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রবীণদের ছাড়া বাংলা কেন, কোনও রাজ্য বা ভারত চলবে না। প্রবীণদের যে জ্ঞান আছে, তারাই বুদ্ধি দেবে। প্রবীনদের বাদ দিয়ে দেশ চলে নাকি? কোনও রাজ্য চলে? ভারত চলবে? এইজন্য ওই লোকটাকে, যে নিজের স্বার্থের জন্য কথা বলছে, আমার মনে হয় মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত লোকটাকে সরিয়ে দেওয়া। কারণ এদের বক্তব্যে প্রবীণ সম্মানীয় নেতারা কষ্ট পাচ্ছেন।’

আবদুল করিম চৌধুরী আরও বলেন, ‘নবীনদের হাতে দেওয়া মানে ‘বাঁদরের হাতে নারকেল দেওয়া। চালাতে পারবে নাকি এরা? দেশের জন্য অনেক আত্মত্যাগ দরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক আত্মত্যাগ করেছেন। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম করে বামেদের ক্ষমতাচ্যূত করেছেন। অন্য দলে অথবা এই দলেও কোনও যোগ্য ব্যক্তি নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া।’

অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও এক হাত নেন করিম সাহেব। তিনি বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী এত লাফাচ্ছে, ও তো মস্তান, গুন্ডা একটা। ও পশ্চিমবঙ্গের হাল ধরবে? খুব দুঃখ হবে সেদিন। কী যে হবে সেদিন জানি না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *