কী জানা যাচ্ছে?
হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে সক্রিয় পুলিশ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা তড়িঘড়ি যুক্ত হল খুনের ধারা। গ্রেফতার করা হল সব অভিযুক্তকেই। রিপোর্ট দিয়ে জানালেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার। বুধবারই পুলিশকে জানানো হয়, কেন এই তদন্তে খুনের ধারা যুক্ত করা হয়নি। বিচারপতি দেবাংশু বসাককে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাদের তো মেডেল দেওয়া উচিত।’ কড়া নির্দেশ দেওয়া হয় ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারকে। বৃহস্পতিবার পুলিশ কমিশনারেটকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়।’
কী ঘটনা ঘটেছে?
গত বছরের জুন মাসের বাড়ি ভাড়া চাওয়াকে কেন্দ্র করে খুন হন টিটাগড়ের বাসিন্দা গোবিন্দ যাদব। ভাড়াটে সহ অন্যদের বিরুদ্ধে ছাদ থেকে ফেলে পিটিয়ে মারার অভিযোগ। তবে এই ঘটনায় খুনের মামলা যুক্ত না করে তদন্ত চালাচ্ছিল পুলিশ বলে অভিযোগ ওঠে। বিচারপতি ব্যারাকপুরের কমিশনারের উদ্দেশ্যে জানান, এই ঘটনায় বাড়িওয়ালার পক্ষ থেকে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সেখানে পরিষ্কার উল্লেখ রয়েছে উপর থেকে মারধর করে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
এরপরেই বিচারপতি জানতে চান, কেন সরাসরি খুন অর্থাৎ ৩০২ ধারা যোগ এর ক্ষেত্রে উপযুক্ত নয়? পুলিশ কেন খুনের ধারা যুক্ত করেনি? আদালতে জানাতে বলা হয়, তদন্তের কোন পর্যায়ে তাদের মনে হল এই মামলায় ৩০৪ নয় ৩০২ অর্থাৎ সরাসরি খুনের দ্বারা যুক্ত করা প্রয়োজন। যদিও, সরকারি আইনজীবী জানান, পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। অনেক তথ্য প্রমাণ হাতে পাওয়া গিয়েছে। শীঘ্রই এই মামলায় ৩০২ ধারা যোগ করা হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিল ব্যারাকপুর পুলিশ। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত করতে চলেছে পুলিশ।