Howrah News : লরির ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে গেল পুলিশের গাড়ি, হাওড়ায় মৃত সাব ইন্সপেক্টর সহ ২ – howrah bagnan two police officials died for an road accident on 16 national highway


বৃহস্পতিবার ভোরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বাগনানের ১৬ নং জাতীয় সড়কে। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক পুলিশ সাব ইন্সপেক্টর এবং এক কনস্টেবলের। মৃতেরা হল সুজয় দাস (সাব ইন্সপেক্টর), পলাশ সামন্ত (হোম গার্ড)। ঘটনাস্থলে যান বাগনানে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সিদ্ধিনাথ গুপ্তা। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কী জানা যাচ্ছে?

জাতীয় সড়কে ডিউটি করার সময় লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল একজন সাব-ইন্সপেক্টর ও একজন হোম গার্ডের। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ১৬ নং জাতীয় সড়কে বাগনান বরুণদায়। মৃতেরা দু’জনেই বাগনান থানায় কর্মরত। ১৬ নং জাতীয় সড়কের কাছে তাঁরা ডিউটিতে ছিলেন।

কী ভাবে ঘটল দুর্ঘটনা?

জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ১৬ নং জাতীয় সড়কে বাগনানের বরুন্দায় ডিউটি করছিলেন সুজয় দাস, পলাশ সামন্ত , শুকদেব বিশ্বাস (কনস্টেবল,) অলোক বর (কনস্টেবল)। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন গাড়ি চালক বক্কর আলী। জানা যায়, এদিন জাতীয় সড়কের উপর পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। সেই সময় কোলাঘাট দিক থেকে বাগনানের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়ির পিছনে ধাক্কা মারে একটি লরি। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় সাব ইন্সপেক্টর সুজয় দাস এবং হোম গার্ড পলাশ সামন্তর।

খবর পেয়ে বাগনান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে চারজনকে উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা সুজয় এবং পলাশকে মৃত বলে ঘোষণা করে। আর দুই পুলিশ কর্মী গুরুতর আহত হওয়ায় তাঁদের কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গাড়ি চালক উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থলে গ্রামীণ জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা।

Howrah Water Supply : বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর হাওড়ার বেশ কিছু ওয়ার্ডে বন্ধ জল
উল্লেখ্য, হাওড়া জেলার বাগনানে ১৬ নং জাতীয় সড়কে মাঝেমধ্যে পথ দুর্ঘটনা ঘটে। পথ নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এর আগে সাধারণ যাত্রীর মৃত্যু ঘটেছে। বুধবার রাতে দুই পুলিশ আধিকারিকের মৃত্যুর ঘটনায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বেপরোয়া ভাবে জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে লরি, মালবাহী ট্রাক চলাচল করে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পথ নিরাপত্তা নিয়ে মাঝেমধ্যে সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ কর্মসূচি পালন করা হয়ে থাকে পুলিশের তরফে। জাতীয় সড়ক দিয়ে নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে গাড়ি চলাচল করার ব্যাপারে বারংবার নির্দেশিকা দেওয়া হয়। তারপরেও বেপরোয়া গাড়ি চলাচলের অন্ত নেই। এরকম ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *