স্থানীয় এক যুবক সোশ্যাল মিডিয়ায় বৃদ্ধের ছবি পোস্ট করে খোঁজ শুরু করলে তাঁর গ্রামের পড়শিদের কেউই কিন্তু বৃদ্ধের ওই মেয়েকে দোষারোপ করতে রাজি হননি। পরিস্থিতির জন্য উল্টে বৃদ্ধকেই দায়ী করেছেন তাঁরা। স্বরূপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কানাই দাস বলেন, ‘নবদ্বীপ থানাকে জানিয়েছি। মৌখিকভাবে থানা থেকে আমাদের বলা হয়েছে, ওঁকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করতে।
তবে মলমূত্র করে ফেলায় কোনও টোটো ওঁকে তুলতে চায়নি। তাই ওঁকে হাসপাতালে পাঠানো যায়নি। আপাতত ওঁর শোয়ার ওই জায়গায় পঞ্চায়েত থেকে পলিথিন দিয়ে ঘিরে দিয়েছি। তবে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করব আমরা। বৃদ্ধের কাছ থেকে ওঁর মেয়ের ফোন নম্বর পেয়েছে ক্লাবের ছেলেরা। ওরা তো বটেই, আমি নিজেও সেই নম্বরে ফোন করেছি। কেউ ধরেননি।’
বৃদ্ধ জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী ও তিন মেয়ে রয়েছে। তিনি ইদানীং রানাঘাটে আঁইশতলা সুভাষপল্লিতে ছোট মেয়ের কাছে থাকছিলেন। স্থানীয় ক্লাবের সম্পাদক অরবিন্দ দাস বলেন, ‘আমরা জেনেছি, বৃদ্ধের মেয়ে স্থানীয় একটি হোটেলে পাঁচশো টাকাও দিয়ে গিয়েছেন বাবাকে খাবার দিয়ে যাওয়ার জন্য। চাদর-জামা, কাপড়ের ব্যাগস জলের বোতলও পাশে রেখে গিয়েছেন। আমরা ফোনে ওঁর মেয়েকে যোগাযোগ করতে না পেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলাম। পরিবারের কেউ যোগাযোগ করেননি।’
তবে ওই পোস্টের কমেন্টেই কয়েক জনকে দেখা যায় বৃদ্ধের বিরুদ্ধে এবং পরিবারের পক্ষে কথা বলতে। সংশ্লিষ্ট পোস্টে শোভনা সিংহ বলে একজন লিখেছেন, ‘আমি চিনি, ইনি কৃষ্ণকাকু। সারা জীবন ফ্যামিলির কাউকে দেখেননি। বাড়িঘর সব বিক্রি করে অন্য মহিলার সঙ্গে থাকতেন। এখন অসুস্থ। ওঁর তিন মেয়ে ট্রিটমেন্ট করিয়েছেন। উনিই মেয়েদের বলেন, নবদ্বীপে রেখে আসতে। মেয়েরা অনেক বোঝানোর পরেও নিজের হাত কেটে ফেলেন। তার পরে এক মেয়ে ওঁকে সেখানে রেখে আসে।’
প্রতিমা সাহা বলে এক নেটিজেনও লিখেছেন, ‘মেয়েরা ভালো। ওদের দোষ নেই। ওরা দেখতেই চেয়েছিল। কিন্তু উনি থাকতে চাননি।’