কী জানা যাচ্ছে?
বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যপারীর কার্যালয় ভাঙচুর করা হয় বুধবার রাতে। বিধায়ক সোশ্যাল মিডিয়াতে তৃণমূল যুব নেত্রীর রুনা খাতুন-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তাঁর দিনেই কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ তোলা হয়। রুনা দলবল পাঠিয়ে তাঁর কার্যালয় ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ জানান। প্রসঙ্গত, বুধবারই তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর উপর হামলা হতে পারে। তাঁর উপর ‘গুলি চালানো’ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।
কী জানালেন তৃণমূল যুব নেত্রী
যদিও রুনা খাতুন জানিয়েছেন, তার লোকজন এ কাজ করেনি। কারা করেছে পুলিশ প্রশাসন দেখুক। মিথ্যা অভিযোগ করছেন বিধায়ক। সমাজ মাধ্যমে গত কয়েকদিন ধরে বিধায়কের বক্তব্য বলাগড়ের মানুষ ভালো ভাবে নেয়নি হলে তাঁর মত। সেই কারণে স্থানীয় মানুষ দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করতে পারে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে, বলাগড় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য চম্পা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে ভাঙচুর। তার স্বামী সুরজিৎ মুখোপাধ্যায়ের মারধোর। পঞ্চায়েত নেতা বিধায়ক ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে আছে গোটা বলাগড় জুড়ে।
কী জানালেন বিধায়ক?
বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুক একটি পোস্ট করেন বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তিনি বলেন, ‘অবশেষে আমার আশঙ্কা সত্যি হল। রুনা খাতুন ও তার স্বামী অরিজিৎ দলবল নিয়ে হামলা চালালো আমার জিরাটের কার্যালয়ের উপর। ভেঙে ফেলা হলো দরজা জানালা। ভেঙে আর ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে দিদির ছবি – দলীয় পতাকা। ভেবে দেখুন বলাগড়ের জনগণ, এঁরা কেমন দিদির প্রতি অনুরক্ত।’
এর আগেই তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী বুধবার ফেসবুক একটি পোস্ট করেন। নাম না করে তৃণমূলের যুব নেত্রী রুনা খাতুনের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি। পাশাপাশি, আগামী ৭ জানুয়ারি তিনি ফেসবুক লাইভ করে অনেকের মুখোশ খুলে দেবেন বলেও দাবি করেন। পালটা, তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর বিরুদ্ধে মুখ খোলেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর দাবি, কোনও প্রমাণ ছাড়াই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে। বিধায়ক নিজে একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন বলে দাবি করা হয়। এমনকি, পুরো বিষয়টি তিনি দলকে জানিয়েছেন বলেও জানানো হয়।