Manoranjan Bapari Apologise For Slang Used For Tmc Woman Leader Creates Buzz At Balagarh Hooghly


রাজনৈতিক বাদানুবাদ পৌঁছেছে অশ্রাব্য গালিগালাজে। ‘তুই বড় না মুই বড়’ বচসায় জায়গা করে নিল কুরুচিকর ভাষা। তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে তুমুল বিতর্ক হুগলি জেলার বলাগড়ে। তৃণমূল যুবনেত্রী রুনা খাতুনকে আক্রমণ করতে গিয়ে মুদ্রণ অযোগ্য ভাষা ব্যবহার কলেন বিধায়ক তথা স্বনামধন্য লেখক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। বিতর্ক বাড়ায় ক্ষমা চাইলেন তিনি। অসির চেয়ে মসি বড়, সেই বোধোদয়ের ব্যাখ্যা দিলেন তিনি। অন্যদিকে, থানায় বিধায়কের নামে অভিযোগ দায়ের করলেন রুনা খাতুন

বিতর্কের সূত্রপাত

বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী এবং স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী ও জেলা পরিষদের সদস্য রুনা খাতুনের বচসায় সরগরম হুগলি। জেলার রাজনীতির অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যায় যুযুধান এই দুই পক্ষের বিবাদ দীর্ঘদিনের। এর মধ্যেই বুধবার ফেসবুক একটি পোস্ট করেন মনোরঞ্জন। সেখানেই যুব নেত্রীর মুখোশ খুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। আগামী ৭ জানুয়ারি বিশেষ বার্তা দেওয়ার জন্য একটি ফেসবুক লাইক করার কথা জানান বিধায়ক।


বিধায়কের অভিযোগ

বিধায়ক জানান, নিজের এলাকায় তিনি ঢুকতে পারছেন না গুলি খেয়ে যাওয়ার ভয়ে। তৃণমূলের কোন্দল চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছয় এরপর। পালটা, বিধায়ককে নিজের কার্যালয়ে বিষয়ে যা বলার বলতে চ্যালেঞ্জ দেন রুনা। রাতেই বিধায়ক জানান, তিনি নিজের কার্যালয়ে গিয়ে যা বলার বলবেন। এর মধ্যে রাতে বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর কার্যালয়ে ভাঙচুর করে কিছু দুষ্কৃতীরা। এরপরেই অশ্রাব্য ভাষায় রুনা খাতুনকে আক্রমণ করে ফেসবুক পোস্ট বিধায়ক। কয়েক সেকেন্ডের সেটি তুলেও নেন। যদিও, ততক্ষণে সেটি সমস্ত জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।

Manoranjan Bapari : যুবনেত্রীকে কুরুচিকর আক্রমণ! মনোরঞ্জনের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর, অগ্নিগর্ভ বলাগড়
কী বললেন মনোরঞ্জন?

সেই ভাষা ব্যবহারের বিষয়ে ক্ষমা চেয়ে বলাগড়ের বিধায়ক বলেন, ‘এমনটা লেখা সত্যিই আমার উচিৎ হয়নি। ভুলে যাওয়া উচিৎ হয়নি আমি একজন লেখক। ‘ওদের’ মতো নিচু আর নিকৃষ্ট জীব নই। তাই আমার পাঠক প্রিয়জন এবং পশ্চিমবঙ্গ বা ভারতবর্ষের সমস্ত পরিচিত অপরিচিত সবার কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’ নিজের লেখক স্বত্তায় আঘাত লেগেছে বলেই মনে করছেন তিনি।

কী বললেন রুনা?

বলাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর রুনা এদিন বলেন, ‘ উনি যতবার আমাকে আক্রমণ করেন, প্রমাণ ছাড়াই সেই কথা বলেন। উনি নিজেই লোক পাঠিয়ে নিজের কার্যালয় ভেঙেছেন।’ রুনার কথায়, আমি ওঁর সম্পর্কে কোনওদিন মুখ খুলিনি। আমি ওঁকে ব্যাক্তিগতভাবে আক্রমণ করিনি। তারপরেও আমাকে যা খুশি তাই বলা হচ্ছে। আমি চাইব, দল এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।
যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেসের নবীন প্রবীণ দ্বন্দ্বের মাঝেই আরেক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে হুগলিতে। যার জেরে স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে দলকে। একজন বিধায়ক এবং সর্বোপরি একজন লেখকের ভাষা ব্যবহার নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চাও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *