কিন্তু, এরপরেই স্কুলের বাইরে শিক্ষকের হাতে মদের গ্লাস বা বাটি দেখলেই ‘নীতি স্কেল’ দিয়ে তা মাপঝোপ করার প্রবণতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কোনও স্কুল শিক্ষককের বিদ্যালয়ের বাইরে মদের বোতল হাতে ছবি দেওয়া বা মদ খাওয়া কি আইনি অপরাধ? না পুরোটাই মাপা হয় ‘নীতি স্কেল’ দিয়ে? খোঁজ নিয়ে দেখল এই সময় ডিজিটাল।
এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলেন, ‘ভারতবর্ষে মদ্যপান আইনত অপরাধ নয়। কিন্তু, মদ্যপানের পর যদি কোনও ব্যক্তি আইন লঙ্ঘন করেন সেক্ষেত্রে তখন তা আইনত অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।’ একই সঙ্গে আইনজীবীর সংযোজন, ‘যাঁরা ওই শিক্ষককে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবেন তিনি।’
মোদ্দা কথা, স্কুল পরিসরের বাইরে কোনও শিক্ষকের ব্যক্তিগত আচরণ যদি আইন লঙ্ঘন না করে ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী তাঁকে শাস্তি দেওয়া সম্ভব নয়, আইন বলছে এমনটাই। অন্যদিকে, এই আচরণ কি কোনওভাবে সার্ভিস রুল লঙ্ঘন করবে! সেই প্রশ্নও এই ঘটনার পর উঠেছে
এই প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার ডিআই (প্রাইমারি) তরুণ কর সরকার এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘সার্ভিস রুল বলছে কোনও শিক্ষক স্কুল চত্বরে কী করছেন তা দেখার দায়িত্ব আমাদের। স্কুলের বাইরে গিয়ে তিনি কী করছেন কা দেখার দায়িত্ব আমাদের নয়।’
শিক্ষকের ওই ভাইরাল ভিডিয়ো প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান দিলীপ রায় বলেন, ‘কোনও শিক্ষকের এই ধরনের আচরণ করা উচিত নয়। তাঁকে সংযত হতে হবে। আমরা খতিয়ে দেখছি গোটা বিষয়টা। ভাইরাল ভিডিয়োটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ডিআই-এর সঙ্গে আলোচনা করে দেখব গোটা বিষয়টি। কোনও পদক্ষেপ করার হলে করব।’