২০২২ সালের ২৪ জুলাই শ্যামপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক ব্যক্তি। তিনি জানান, হোয়াটসঅ্যাপে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। উল্টো দিকের ব্যক্তি জানান, অনলাইনে ভিডিয়ো, ছবি দেখে তার রিভিউ লিখলে মিলবে মোটা টাকা। সম্মতি দিতেই টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হওয়ার কথা বলা হয় অনিরুদ্ধকে। কোনও দিক খতিয়ে না দেখে তাতে সাড়া দেন ওই ব্যক্তি। কিছুদিন কাজের পর টাকাও দেওয়া হয় তাঁকে।
বিশ্বাস অর্জনের পরেই টাকা বিনিয়োগ করতে বলা হয় তাঁকে। জানানো হয়, এক লক্ষের বেশি টাকা রাখলেই দু’বছরে মিলবে দ্বিগুণ। মাসে মাসে দেওয়া হবে সুদও। ৫ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে বসেন ওই ব্যক্তি। তবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মাসে মাসে সুদ না পেয়ে সংস্থার সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হন।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, হাতানো টাকার মধ্যে ২ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা উত্তরপ্রদেশের একটি ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে। দিনের দিনই সেই অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা বাঘাযতীনের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। সেই অ্যাকাউন্টের তথ্য খতিয়ে দেখে ‘আদর্শ রিয়েল এস্টেট’ নামে একটি সংস্থার হদিশ পান তদন্তকারীরা। ওই সংস্থার মালিক অনিরুদ্ধ।
সেই সূত্রেই মঙ্গলবার রাতে বাঘাযতীনের বাসিন্দা ওই যুবকের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। ধৃতের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের চেকবই, মোবাইল-সহ অন্য জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বুধবার ধৃতকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করা হলে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়।