West Bengal Govt : কর্মীদের গতিবিধি নজরে রাখতে নবান্নে এবার চালু হচ্ছে চিপকার্ড – nabanna launched chip card system for high security


নবান্নের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আঁটসাট করতে এবার থেকে সাধারণ কর্মচারী এবং অফিসাররা কে কার ঘরে ঢুকছে-বেরচ্ছে, তার উপর সর্বক্ষণ নজরদারি চালানো হবে। এর জন্য নতুন চিপ কার্ড চালু হচ্ছে। এবার থেকে নবান্নের কর্মীদের সবসময় সেই কার্ডটি সঙ্গে রাখতে হবে। বিনা প্রয়োজনে কোন কর্মী নিজের দপ্তর ছেড়ে অন্য দপ্তরে যেতে পারবেন না। এমনকী এক তলা থেকে অন্য তলায় যাওয়াও বারণ।

কোনও কর্মীকে দেখে সন্দেহ হলেই নবান্নের নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁদের পরিচয়পত্র যাচাই করে দেখবেন। কারণ দর্শাতে না পারলে পত্রপাট সেখান থেকে বিদায় করে নেওয়া হবে। নিয়ম-শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য শাস্তির মুখে পড়তে পারেন অবাধ্য কর্মীরা।

নবান্ন সূত্রের খবর, নয়া ব্যবস্থায় জিপিএস সিস্টেমের সাহায্যে কর্মীদের গতিবিধি ট্র্যাক করা হবে। কোন কর্মী কোন দপ্তরে কাজ করেন তার যাবতীয় তথ্য কার্ডের চিপে ভরা থাকবে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে প্রশাসনিক মহলে।

এমনিতেই সরকারি পরিচয়পত্র না থাকলে নবান্নে কেউ প্রবেশ করতে পারেন না। গেট দিয়ে ঢোকার সময় ল্যাগেজ স্ক্যানারে ব্যাগপত্র পরীক্ষা করে দেখা হয়। কিন্তু নবান্নের ভিতরে কর্মীরা কে কার ঘরে ঢুকছেন তার উপর সে অর্থে কোনও নজরদারি ছিল না। তাই এই খবরে কিছুটা হলেও অস্বস্তি পড়েছেন সাধারণ কর্মীরা।

কিন্তু এতদিন পর নবান্নের কর্মীদের উপর নজরদারির প্রয়োজন পড়ল কেন?

নবান্নের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ কর্তার ব্যাখ্যা, নবান্নে আঁটসাট নিরাপত্তা থাকলেও সিএমও অফিস, স্বরাষ্ট্র, অর্থ সহ বিভিন্ন দপ্তর থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বাইরে ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। সরকারি গোপন তথ্য বাইরে পাচার করার পিছনে নবান্নের এক শ্রেণীর কর্মী এবং আধিকারিকদের হাত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। লোকসভা ভোটের আগে যাতে এ নিয়ে সরকারকে নতুন করে বিড়ম্বনায় পড়তে না হয় তার জন্যই প্রতিটি কর্মীকে এখন থেকে ম্যান-মার্কিং করা হবে।

West Bengal Government : এবার থেকে জেলাশাসকরাও আইনশৃঙ্খলা দেখবেন: স্বরাষ্ট্রসচিব
চিপ কার্ড চালু করার পাশাপাশি নবান্নের প্রতিটি ফ্লোরে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা আরও বাড়ানো হচ্ছে। কে কোথায় যাচ্ছে তা রেজিস্ট্রার খাতায় লিখে রাখবে পুলিশ। নবান্নে যত দপ্তর রয়েছে প্রতিটি অফিসের সামনে অফিস চলাকালীন পুলিশ প্রহরা বসানো হবে। তার পাশাপাশি কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভিতে নজরদারি চালানো হবে। সন্দেহজনক কোনও গতিবিধি নজরে এলেই সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকদের সতর্ক করে দেওয়া হবে।

কর্মীদের নিয়মানুবর্তিতা এবং হাজিরা সুনিশ্চিত করতে সম্প্রতি নবান্নের প্রতিটি ফ্লোরে ফেস রেকগনিশন ক্যামেরা বসেছে। তাতে কর্মীদের হাজিরা সুনিশ্চিত হলেও নতুন সিস্টেমে অনেকেই সমস্যায় পড়ছেন বলে অভিযোগ করছেন। মাঝে মধ্যেই এই ক্যামেরা কর্মীদের মুখ রিড করতে পারছে না। কারও দাঁড়ি, গোঁফ বেড়ে গেলেও ক্যামেরা চিনতে পারছে না। তার জেরে বিপাকে পড়তে হচ্ছে কর্মীদের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *