কী বললেন অধীর?
অধীর রঞ্জন চৌধুরী এদিন বলেন, ‘যে বিজেপি বড় কথা বলছে, তাঁদের বলবো কোথায় তোমাদের বাহাদুরি ভাই। তোমরা বলেছিলে বাংলার মানুষের রক্ষা করবে, অনেক বাতেলা করছে। ক্ষমতা নেই তোমাদের। কারণ, ভেতরের কথা কিছু আলাদা।’ বিজেপি নেতারা বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা বললেও সেটা কাজে করে দেখাতে পারবে না বলে দাবি অধীরের।
শেখ শাহজাহান নিয়ে মন্তব্য
সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে অধীর জানান, ওখানে কিছু তো ছিলই। না হলে, এভাবে সংগঠিতভাবে আক্রমণ কেন হবে? তাঁর কথায়, রাজ্য সরকারের উপরের মহল থেকে নির্দেশ ছিল, সেই কারণেই পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল। নাহলে পুলিশ এভাবে নিষ্ক্রিয় থাকতো না বলে দাবি তাঁর। অধীর বলেন, ‘ডাল মে তো কুছ কালা হ্যায়। যখন ধোঁয়া দেখা গিয়েছে, আগুন তো ছিলই। এভাবে পরিকল্পিত, সংগঠিত আক্রমণ হল কেন?’ অধীরের দাবি, এই ঘটনার কথা আগে থেকে পুলিশ – পার্টি (তৃণমূল) সকলেই জানত।
সন্দেশখালির ঘটনায় ইতিমধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ন্যাজাট থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ইডি অফিসারদের আক্রমণের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পালটা, ইডির বিরুদ্ধে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এফআইআর দায়ের করেছে বলে জানতে পারা গিয়েছে। এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ।
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির ঘটনায় ইতিমধ্যেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে বিজেপি। গোটা বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। এমনকি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পুরো বিষয়টিকে হালকা ভাবে নেবে না বলেও জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতারা। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্য সরকারের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলেই মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল।
গতকালই রাজ্যপালকে রাষ্ট্রপতি শাসন ব্যাপারে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও, রাষ্ট্রপতি শাসনের ব্যাপারে রাজ্যপাল সরাসরি কোনও ইঙ্গিত না দিলেও রাজ্য সরকার ব্যবস্থা না নিলে দেশের সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান রাজ্যপাল।