Calcutta high court Justice: শীঘ্রই নতুন বিচারপতি পেতে পারে কলকাতা হাইকোর্ট, নাম সুপারিশ সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের – calcutta high court registrar general chaitali chatterjee may become the new judge with the recommendation of supreme court collegium


কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের বিচারপতি পদে নিয়োগ! এই নিয়োগের জন্য ইতিমধ্যেই সুপারিশ করেছে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। বৃহস্পতিবার এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কলেজিয়াম। যেখানে বলা হয়, গত বছর ২৬ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের দুই বর্ষীয়ান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করা হয় বিষয়টি নিয়ে। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম কলকাতা হাইকোর্টের পরবর্তী বিচারপতি হিসেবে চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের নাম সুপারিশ করেন।

তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই সুপারিশের উপর ভিত্তি করে কোনও মতামত প্রকাশ করেননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। জানা যাচ্ছে, যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যপাল এই নিয়ে কোনও মন্তব্য না করেন সেক্ষেত্রে তাঁদের এই নির্দিষ্ট বিষয়ে কিছু বলার নেই বলে ধরে নেওয়া হবে। এরপরেই কলেজিয়াম কমিটি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়কে নিয়োগের সুপারিশে অনুমতি দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, তিনি জুডিশিয়াল অফিসার হিসেবে এর আগে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। সরকারের দেওয়া যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখা হয়। জানা গিয়েছে, চৈতালী চট্টোপাধ্যায় ২০০৯ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিসে যোগদান করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি বারে নাম নথিভুক্ত করেন। এরপর তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির তৈরি করে দেওয়া ‘দ্য জাজমেন্ট ইভালুয়েশন কমিটি’-ও এই বিষয়ে উল্লেখযোগ্য মতামত দিয়েছে।

এই মুহূর্তে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে শুরু করে নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের দিকে চেয়ে রয়েছেন আবেদনকারীরা। নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক মামলা রয়েছে বিভিন্ন এজলাসে।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক সপ্তাহে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ সামনে এসেছে। শুক্রবার সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহান নামক এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে গিয়েছিলেন ED আধিকারিকরা। রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু, সেখানে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয় ED আধিকারিকদের। তিন জন ED আধিকারিক আহত হন বলে জানা গিয়েছে।

TET Recruitment case: ১০ দিনের মধ্যে প্রাথমিকের প্যানেল প্রকাশ, নিয়োগ মামলায় বড় নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
এরপরেই সরগরম হয় রাজ্য রাজনৈতিক মহল। এই বিষয়ে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এই রাজ্যের সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে বলে কেন রাজ্যপাল ঘোষণা করছেন না?’ পাশাপাশি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘তদন্তকারীরা মার খেলে কী ভাবে তদন্ত করা সম্ভব হবে!’ আহত ED আধিকারিকদের দেখতে হাসপাতালেও যান তিনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *