বিগ্রেড সমাবেশের আগের রাতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর কিছু বার্তার আশায় ছিল যুব সংগঠন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি সমাবেশে হাজির থাকতে পারবেন না। কিন্তু তাঁর একটি বার্তাই দলের কর্মীদের কাছে হাজার বক্তৃতার সমান। সেই আশাতেই, সন্ধ্যায় পাম এভিনিউয়ের বাড়িতে হাজির হন মীনাক্ষীরা। তাঁদের হাতেই সমাবেশের বিশেষ বার্তা তুলে দিয়েছেন বুদ্ধদেব বলে জানা গিয়েছে।
ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষীর সঙ্গে এদিন ছিলেন রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা, কলতান দাশগুপ্তরা। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বেরিয়ে মীনাক্ষী জানান, ‘ উনি বলেছেন আগামীকাল ভাল ব্রিগেড হবে। বড় ব্রিগেড হবে।’ যুব সংগঠনের উদ্যোগে সফল বিগ্রেড সমাবেশের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে শেষবার ব্রিগেড সমাবেশে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সেই সময় শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না তাঁর। মাত্র পনেরো মিনিট থাকতে পেরেছিলেন মঞ্চে। তবে তাঁর বার্তা শোনায় অধীর আগ্রহে ছিলেন কর্মী, সমর্থকরা। এরপর থেকে আর ব্রিগেড সমাবেশ থাকতে পারেননি তিনি। শেষ ২০২১ সালের সমাবেশে একটি অডিয়ো বার্তা শোনানো হয় তাঁর। এবারেও তাঁর একটি বার্তা নেওয়ার আশাতেই সাক্ষাৎ করেন মীনাক্ষীরা।
টানা কয়েক মাস ধরে ইনসাফ যাত্রার পর অবশেষে কলকাতা ময়দানে বড় সমাবেশের আয়োজন করছে DYFI। যুব সংগঠনের ডাকা সমাবেশ হলেও আগামীকালের সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন ছাত্র সংগঠন এবং অন্যান্য বাম সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। লোকসভা নির্বাচনের আগে কালকের সমাবেশ থেকেই বিশেষ বার্তা দেওয়া হবে। একদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের লাগামছাড়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা হবে, পাশাপাশি কেন্দ্রের বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধেও সুর তুলবেন মীনাক্ষী, মহম্মদ সেলিমরা। ব্রিগেড জুড়ে লাল পতাকায় ছেয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় বাম কর্মী, সমর্থকরা। ইতিমধ্যে সমাবেশের আয়োজনের সব রকম বন্দোবস্ত প্রস্তুত। শহরের সাতটি জায়গা থেকে মিছিল এসে জড়ো হবে ধর্মতলায়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইতিমধ্যেই কর্মীরা এসে হাজির হয়েছেন শহরে। কালকের সমাবেশের অপেক্ষায় কমরেডরা।