সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘গতকাল আমার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। বিজেপি বিধায়কদের পক্ষ থেকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়, পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ ও খানাকুলের বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ গিয়েছিলেন। তাঁরা ইডি আধিরাকিরদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন। আমি প্রার্থনা করি তাঁরা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে দুর্নীতিকে দূর করার ক্রুসেডে যোগদান করুন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, এই ভয়াবহ ঘটনার জন্য যারা দায়ী, তাদের অবিলম্বে বিচার প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হবে।’
প্রসঙ্গত, গতকালই হাসপাতালে আহত অফিসারদের দেখতে যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তাঁদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেওয়ার পর বাইরে বেরিয়ে বোস বলেন, ‘ভারতে সংবিধান আছে, আইনি ব্য়বস্থা আছে, সবকিছু প্রয়োগ করা হবে, যাতে এই নৈরাজ্য চলতে না পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সবার কাছেই লজ্জার, বাংলা আক্রান্ত, গণতন্ত্র আক্রান্ত, কোনও মতেই এটা বরদাস্ত করা যায় না, অবশ্যই দোষীদের বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নেওয়া হবে।’
রাজ্যপাল ছাড়াও ইডি আধিকারিকদের দেখতে হাসপাতালে যান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, ‘যাঁদের লেলিয়ে দেওয়া হল মারার জন্য তাঁরা ভারতের নাগরিক তো? তাঁরা অন্য কোনও জায়গা থেকে নৌকায় আসেননি তো? যদি উপযুক্ত তদন্ত হয় পুরো সত্যিটা সামনে আসবে।’
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির ঘটনার পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, ‘রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না যে এই রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে?’ নিদের এই মন্তব্যের ব্যখ্যাও দেন তিনি। বিচারপতি বলেন, ‘এই মন্তব্য অত্যন্ত সচেতনভাবে করেছি, এখনও মনে করি রাজ্যের সাংবিধানিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। তা না হলে কোনও রাজ্য সরকার দুর্নীতির তদন্ত আটকাতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে না। আপাতত পশ্চিমবঙ্গের একজন অধিবাসী ও সাধারণ মানুষ হিসেবে আমি জানতে চাই, দুর্নীতির তদন্ত ঠেকানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে ছোটাছুটি করতে মা মাটি মানুষের সরকারের কত খরচ হয়েছে?’