Kalonunia Rice : জি আই ট্যাগের পর ব্যাপক হারে বেড়েছে কালোনুনিয়ার চাষ, হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখেও – farmers getting interest to cultivate kalonunia rice at uttar dinajpur after gi tag


ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই জি আই ট্যাগ পেয়েছে উত্তরবঙ্গের সুগন্ধি চাল কালোনুনিয়া। মূলত জলপাইগুড়ি, কোচবিহার জেলায় এই কালোনুনিয়ার চাষ হলেও উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন জায়গাতেও এর চাষ করে থাকেন কৃষকেরা। রায়গঞ্জ,কালিয়াগঞ্জ, করণদিঘি এলাকায় এই কালোনুনিয়া ধান চাষ হয়ে থাকে। কালোনুনিয়া চাল এলাকায় ‘বেগুন বিচি’ নামেও পরিচিত।

এটি মূলত একটি আমন ধান। অগাস্ট মাসের শেষের দিকে বপন করা হয়। ডিসেম্বর মাসের ১ম-২য় সপ্তাহের দিকে এই ধান তোলা হয়। এই কালোনুনিয়া চালের তৈরি পায়েসও খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে। মূলত, জলা ভূমির আশেপাশেই এই কালোনুনিয়া ধানের ফলন দেখা যায়। রায়গঞ্জের হাতিয়া, মারাইকুরা, টেনহরি, আবদুলঘাটা, কালিয়াগঞ্জের পশ্চিম টুঙ্গইলবিল পাড়া, মালগাঁও,ফোলামনি এলাকার কৃষকেরা এই ধানের চাষাবাদ করে থাকেন। বর্তমানে এই চাল ৭০ থেকে ৮০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বাজারে।

বিনয় কৃষ্ণ দাস নামে এক কৃষক জানান, দু’বছর ধরে তিনি এই ধান চাষ করছেন। এই ধানের ফলন খুব ভালো। দামও ভালো পাওয়া যায় এবং চাহিদাও রয়েছে। এমনকী জমিতে জল জমলেও এই ধানের ক্ষতি হয় না। চাহিদা বাড়ছে বলে এই ধানের চাষ আরও বাড়বে বলে আশাবাদী তিনি। অপর এক কৃষক তন্ময় দাস বলেন, এই কালোনুনিয়া চাল পায়েসের জন্য বিখ্যাত। তাঁরা বিভিন্ন রকমের ধানের চাষ করে থাকেন। এই বছর প্রায় ৩-৪ একর জমিতে এই কালোনুনিয়া ধানের চাষ করেছেন। ওই এলাকায় প্রায় ৭০-৮০ জন কৃষক এই ধান চাষ করেছেন।

এই ধানের চাহিদা এমনিতে ভালোই। সঙ্গে জি আই ট্যাগ পাওয়ায় কৃষকরাও খুবই গর্বিত এবং খুশি। এতে কৃষকরা আরও আগ্রহী হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এলাকার এক চাল ব্যবসায়ী দীপঙ্কর সাহা বলেন, বছর দুয়েক আগে এই চালের তেমন কোনও চাহিদা ছিল না। তবে জি আই ট্যাগ পাওয়ার পরে এই চালের চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে।

অপরদিকে,উত্তর দিনাজপুর জেলার উপ কৃষি আধিকারিক সফিক উল আলম জানান, জি আই ট্যাগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খুবই গর্বের বিষয়। উত্তর দিনাজপুর জেলা অনেক আগেই তুলাইপাঞ্জি চালের জন্য জি আই ট্যাগ পেয়েছে। এই তুলাইপাঞ্জি নিয়ে কাজও চলছে। এই বছর কালোনুনিয়া জি আই ট্যাগ পেয়েছে। যদিও সেটি জলপাইগুড়ি জেলার জন্য। তবে এই জেলাতেও কালোনুনিয়া চাষ হয় এবং ফলনও ভালো।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *