প্রতি বছরই দেশের থানাগুলিকে নিয়ে সমীক্ষা চালায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ এক সংস্থা। এই বছরও সেই সমীক্ষা করা হয়েছিল। এরপর নবান্নকে চিঠি দিয়ে জানানো হয় যে দেশের সেরা তিনটি থানার মধ্যে এই রাজ্যের শ্রীরামপুর থানাও রয়েছে। ক্রিসমাসের অনুষ্ঠানের সূচনায় সেই স্বীকৃতির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই বিষয়ে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছিলেন, বেশ কিছুদিন আগেই সমীক্ষা করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে। তাদের সমীক্ষায় বেশ কয়েকটি প্যারামিটারের কথাও বলা হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল জনগণের পরিষেবা দেওয়া, মানুষের সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক, থানা চত্বর কতটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং উন্নত পরিষেবার মাধ্যমে কতটা জনগণের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পেরেছে পুলিশ, এই ধরণের বিষয়গুলি। দেশের তিনটি সেরা থানার মধ্যে শ্রীরামপুর স্থান পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা। শ্রীরামপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক দিব্যেন্দু দাস-সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা এই সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
পুলিশ কমিশনার জানান, এই স্বীকৃতি অন্য থানা গুলোকে আরও ভালো পরিষেবা দিতে উৎসাহ দেবে। এটা চন্দননগর পুলিশ-সহ গোটা রাজ্যের পুলিশের কাছে গর্বের ব্যাপার। আইডিয়াল থানার এই স্বীকৃতি তুলে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পুরস্কার গ্রহণ করেছেন, শ্রীরামপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ দিব্যেন্দু দাস।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মাঝে মধ্যেই প্রশ্ন ওঠে। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ওপরে হামলা। সেখানে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছে ইডির আধিকারিকদের। রক্তাক্ত হয়েছেন তাঁরা। সেই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে। কোনও কোনও সময় পুলিশের বিরুদ্ধে রাজ্যর শাসকদলের হয়ে কাজ করার অভিযোগও তোলেন বিরোধীরা। সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে এই সম্মান রাজ্য পুলিশের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।