দেখা গেল ব্রিগেড সভাস্থলের পাশেই খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন কেউ কেউ। আর সেখান থেকেই খাবার কিনে খাচ্ছেন অনেকে। এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ভাত, ডিমের ও আলু-সয়াবিনের তরকারি নিয়ে এসেছেন তিনি। আর সেই সয়াবিনের তরকারি দিয়েই তৃপ্তি করে ভাত খেতে দেখা গেল ডিওয়াইএফআই ও সিপিএম কর্মী সমর্থকদের। ৪০ ও ৫০ টাকা প্লেট দরে বিক্রি হচ্ছে সেই খাবার। ব্যবসায়ী জানালেন, প্রতি ব্রিগেডেই তিনি খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেন। সকাল থেকে বিক্রিও ভালোই হচ্ছে।
নিজেদের টাকা দিয়েই এই খাবার কিনে খাচ্ছেন কর্মীরা। কোনও কোনও বাম কর্মী-সমর্থক তো এই নিয়ে তৃণমূলের ২১শে জুলাইয়েই ডিম ভাত মেনুকেও কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না। এই প্রসঙ্গে কালনা থেকে আসা গৌতমকুমার সাহা নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘চুরির টাকা নয়, এখানে আমরা নিজেদের টাকা দিয়েই খাচ্ছি। এখানে কোনও দুর্নীতির টাকা নেই। আনন্দ সহকারে নিজেদের টাকা দিয়ে কিনে খাচ্ছি।’
নিজের মেয়েকে নিয়ে কালনা থেকে এসেছেন গৌতমকুমার সাহা। তিনি আরও বলেন, ‘মেয়েকে নিয়ে এসেছি, যাতে সে বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে পরিচিত হতে পারে। ডিওয়াইএফআই মূলত শিক্ষা ও কাজের দাবি জানায়। মাঝখানে ১২ বছর ধরে রাজ্যে কোনও চাকরি নেই। শুধু চুরি আর চুরি। এক-দু’টাকা নয়, হাজার হাজার কোটি টাকার চুরি। বর্তমানে বাজারে যে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে, তার জন্য দায়ী তৃণমূল। এক একজনের হাতে যত টাকা গচ্ছিত রয়েছে, সেটা বাজারে খাটালে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও ভালো হত।’
প্রসঙ্গত, প্রতিবছরই ২১ জুলাই তৃণমূলের শহীদ দিবস উপলক্ষে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিড় করেন বহু মানুষ। তাঁদের জন্য খাওয়া দাওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়। কোনও কোনও নেতা তো কর্মী-সংর্থকদের জন্য রীতিমতো লোভনীয় মেনুর আয়োজন করে থাকেন। তবে ডিওয়াইএফআই-এর ব্রিগেডে কিন্তু সেই চিত্র চোখে পড়ল না, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।