মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সভার শেষে বলেন, ‘আমরা তাঁর (বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য) বাড়ি কাল গিয়েছিলাম, তার কাছ থেকে লড়াইেয়রর উষ্ণতা নিয়ে ফিরেছি। যে বার্তাটা উনি পাঠিয়েছেন এটাই লড়াইয়ের ডাক, এটাই লড়াইয়ের কথা।’ এরপর বুদ্ধবাবুর বার্তা পাঠ করেন মীনাক্ষী। ডিওয়াইএফআই-এর সভায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বার্তা, ‘যেখানে ডাক পড়ে, জীবন মরণ ঝড়ে, আমরা প্রস্তুত। এটাই ডিওয়াইএফআই, ব্রিগেডের সমাবেশ সাফল্যমণ্ডিত হবেই।’
শুক্রবার রাতে কলতান দাশগুপ্ত, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ ডিওয়াইএফআই নেতানেত্রীরা গিয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাড়িতে। এদিনের ব্রিগেডের জন্য বার্তা আনতেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান মীনাক্ষীরা। বুদ্ধদেবের বাড়ি থেকে বেরিয়ে মীনাক্ষী জানান, রবিবার ব্রিগেড ভাল হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন বুদ্ধবাবু।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর মীনাক্ষী মুখেপাধ্যায় বলেন, ‘সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সংগঠনে আমরা যুক্ত। মেহনতি মানুষের আশা ভরসা বুদ্ধবাবুর, তাঁর সঙ্গে সঙ্গে দেখা করলাম। আমাদের পূর্বসূরির কাছে ব্রিগেডে আমাদের দাবি-দাওয়ার কথা জানিয়েছি। উনি শুনেছেন, অভিনন্দন জানিয়েছেন। বলেছেন, ৫০ দিন ধরে চলা ইনসাফ যাত্রার বড় হল্ট ব্রিগেড। ব্রিগেড খুব ভাল হবে বলে আশা করেছেন তিনি।’
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে শেষবার ব্রিগেডে এসেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে অসুস্থতার কারণে সেবার মাত্র মিনিট ১৫ ব্রিগেডে ছিলেন। এরপর ২০২১ সালে অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি। শোনানো হয় অডিও বার্তা। আর এবার শরীর আরও খারাপ থাকায়, সেই অডিও বার্তাও শোনানো সম্ভব হল না। তাই তাঁর দেওয়া বার্তা পাঠ করে শোনালেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছেন, সিপিএম নেতা-কর্মী-সমর্থকদের কাছে আজও আবেগঘন নাম এই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর উপস্থিতি এক নিমেষে চাঙ্গা করতে পারে গোটা সংগঠনকে। যদিও তাঁকে সরাসরি না পাওয়া গেলেও পাওয়া গিয়েছে তাঁর বার্তা। এখন সেই বার্তাকেই সম্বল করে আগামী দিনে এগোতে হবে ডিওয়াইএফআই ও সিপিএম-এর কর্মী সমর্থকদের। প্রসঙ্গত, শারীরিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই বাড়িতেই রয়েছেন বুদ্ধবাবু। অতীতে বেশ কয়েকবার হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে।