Debangshu Bhattacharya : ‘যেন নিজেদের পার্টিকেই ভোটটা দেন…’, ব্রিগেডের আগে বামেদের নিয়ে ‘ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা’ দেবাংশুর – debangshu bhattacharya facebook post create buzz ahead of dyfi bridge


আজ ব্রিগেডের দিকে সব নজর। ৫০ দিন রাজ্যজুড়ে ইনসাফ যাত্রার পর এবার ব্রিগেডের ডাক ডিওয়াইএফআইয়ের। এদিন কাপ্তানির দায়িত্বে মীনাক্ষী। রবিবার শহরের সাত জায়গা থেকে মিছিল যেতে চলেছে ব্রিগেডের দিকে।

এরই মধ্যে ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। রবিবার সাতসকালে তৃণমূলের এই যুব নেতা ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি আজ যারা ব্রিগেডে আসবেন, ভোটের দিন তারা সকলে যেন নিজেদের পার্টিকেই ভোটটা দেন। তাহলেই বাংলার মঙ্গল।’ দেবাংশুর এই পোস্ট নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

অনেকে মনে করছেন পুরোটাই কটাক্ষবাণ। রাজ্যজুড়ে একটি বিধানসভাতেও জয়ী হতে পারেননি বামেরা। সাগরদিঘিতে কংগ্রেস জয়লাভ করলেও পরবর্তীতে সেই কেন্দ্রের বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস যোগদান করেন তৃণমূলেই। সেই বিষয়টিকে সামনে রেখেই কি দেবাংশুর কটাক্ষবাণ! প্রশ্ন অনেকেরই।

এদিকে বিজেপিকে হারাতে লোকসভা নির্বাচনের আগে একাধিক বিরোধী দল এক ছাতার নীচে এসে তৈরি হয়েছে ইন্ডিয়া জোট। জোটের ক্ষেত্রে সিপিএম, জাতীয় কংগ্রেস এবং তৃণমূল এক হয়েছে। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠছিল, বাংলার প্রেক্ষিতে এই তিন শক্তির কী ভাবে একসঙ্গে পথ চলা সম্ভব? দিল্লি যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘বঙ্গে বাম, কংগ্রেস এবং তৃণমূল জোট অবশ্যই সম্ভব।’


তাঁর এই মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছিল। অন্যদিকে, গত বছর নভেম্বর মাসে হাওড়ায় বামেদের কর্মসূচিতে যোগদান করে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি জানান, কেন্দ্রে ইন্ডিয়া জোট থাকতে পারে। তবে রাজ্যভিত্তিক আসন সমঝোতা নীতি তাঁরা মানবেন।

সবমিলিয়ে জোট নিয়ে একাধিক চর্চা চলছে। তবে কেন্দ্র থেকে বিজেপি সরকারকে হঠানোর জন্য যে একপ্রকার মরিয়া বিরোধীরা, তা স্পষ্ট। সেক্ষেত্রে কি কোনওভাবে বিজেপিকে ঠেকাতেই দেবাংশুর এই বার্তা! তা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।

Left Front West Bengal : কত খরচ হলো, হিসাব পেশ করবেন মীনাক্ষীরা
উল্লেখ্য, ডিওয়াইএফআই-এর এই ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছে দিলীপ ঘোষের কণ্ঠেও। দিলীপ ঘোষ এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর শহরের বগদা এলাকায় চা চক্রে যোগ দিয়ে বলেন, ‘ব্রিগেডে সমাবেশ নিয়ে বামপন্থীদের একটা ঐতিহ্য রয়েছে। যতদিন এই দলটা থাকবে ওরা এই ব্রিগেড করার চেষ্টা করবে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ব্রিগেড করে মাঠ ভরিয়েছিলেন। কিন্তু, একটা আসনও জিততে পারেনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *