মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র স্বাগত মণ্ডল শনিবার সন্ধ্যার পর কলেজের ক্যান্টিনে বসেই ল্যাপটপে কাজ করছিলেন। সেখানে ছিলেন মেডিক্যাল কলেজের ক্যান্টিনের দায়িত্বে থাকা মহিলার স্বামী। ওই ব্যক্তির জন্য কাজে অসুবিধা হওয়ার বিষয়টি স্বাগত জানালে তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে প্রথমে বচসা হয়।
অভিযোগ, এর পরেই ওই ডাক্তারি পড়ুয়াকে হেনস্থা ও মারধর করা হয়। বিষয়টি চাউর হতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অন্যান্য মেডিক্যাল পড়ুয়ারা। বারাসত থানায় লিখিত অভিযোগের পাশাপাশি শনিবার রাত থেকেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে শুরু হয় বিক্ষোভ। রবিবার সকালেও ক্যাম্পাসে অবস্থান বিক্ষোভ করেন পড়ুয়ারা।
এই প্রসঙ্গে বিক্ষোভকারী দ্বিতীয় বর্ষের মেডিক্যাল পড়ুয়া সুদেষ্ণা বিশ্বাস বলেন, ‘যার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ, তিনি ক্যান্টিনের কেউ না। কলেজের ক্যান্টিনে এই ঘটনা ঘটলে তো আমরা সুরক্ষিত নই।’ বিষয়টি জানার পরেই এ দিন দুপুরে হাসপাতালে চলে আসেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি কথা বলেন বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ার পরেই বিক্ষোভ থেকে সরে আসেন পড়ুয়ারা।
কাকলি বলেন, ‘একজন বহিরাগত মেডিক্যাল পড়ুয়াদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছে। ওরা এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। এটা কোন বিক্ষোভ নয়। মেডিক্যাল পড়ুয়াদের ক্যান্টিন অস্থায়ী ছিল। ক্যান্টিনটা যিনি চালাচ্ছিলেন, তার বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। তাই তাকে বাদ দিয়ে নতুন লোক নেওয়া হবে। ততদিন ছাত্র-ছাত্রীরা হাসপাতালের ক্যান্টিন ব্যবহার করবেন।’