কী জানা যাচ্ছে?
গত দুদিন ধরেই এই সমস্যা চলছে। নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহারের জন্য মিলছে না পর্যাপ্ত পরিমাণ জল। আর তার জন্য চরম বিপত্তিতে বিস্তীর্ণ এলাকার হাজার হাজার মানুষ। আগেও একবার গঙ্গার পাইপ লাইনে সমস্যার জেরে বন্ধ হয়ে পড়েছিল এই বিস্তীর্ণ এলাকার জল পরিষেবা। এবার আবারও ফের কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের উপর তৈরি ফ্লাইওভারের কাজের জন্য বিপত্তি।
কোথাও পাইপে ফাটল?
জানা গিয়েছে, মুড়াগাছা এলাকায় ১৪ ফুট নিচে টিটাগরের দিক থেকে আসা গঙ্গার বৃহৎ আকৃতির পাইপ লাইনে ক্ষতি হয়েছে। যার জেরে আবারও জল বন্ধ রেখে পাইপ লাইন ঠিক করার কাজে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন সহ ইঞ্জিনিয়াররা। জেসিপি দিয়ে পকেট করে জল নিষ্কাশনের কাজ করা হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত দুই জায়গায়। এরপরই পাইপ লাইনের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ ঠিক করে আবারও জল পরিষেবা স্বাভাবিক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। দ্রুত গতিতে কাজ চালানো হচ্ছে।
প্রশাসন কী জানাচ্ছে?
ইতিমধ্যেই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে সেই কাজ। দুটি দলে ভাগ করে মুড়াগাছায় ও আরেক দল সাবস্টেশনের কাছে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান এ দিন মধ্যমগ্রাম পুরসভার পুরপ্রধান নিমাই ঘোষ স্বয়ং ঘটনাস্থলে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন গোটা পরিস্থিতি। সঙ্গে ছিলেন মধ্যমগ্রাম পুরসভার জল দফতরের সিআইসি প্রহ্লাদ দত্ত এবং এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার কেএমডিএ।
বারংবার ওই এলাকায় গঙ্গার জলের পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তিত পুরসভা। কারণ এর ফলে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে নাগরিক সমাজকে। গতকাল রাতেই পুরসভার তরফ থেকে পরিদর্শন করে ওই এলাকা। খুব শীঘ্রই এই জল পরিষেবা আবারও স্বাভাবিক হবে আশার বাণী শোনানো হয়েছে পুরসভার তরফে। তবে বারংবার এই পাইপ লিকেজ হওয়ায় চিন্তিত ইঞ্জিনিয়াররা। স্থায়ী সমাধান নিয়েও ভাবছে পুরসভা। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে কাজ দীর্ঘদিন ধরে চলবে, সেই কারণে আগামী দিনেও এই সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। সেই কারণে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজার চেষ্টা হচ্ছে।