তৃণমূল নেতা বলেন, ‘সেদিনে ঘটনায় যে অশান্তি হল তা হচ্ছে বিজেপির প্ররোচনার পরিনাম। আর তাতে দেখা গেল কয়েকজন আহত হয়েছন। সোমনাথ দত্ত, রাাজকুমার রাম, অঙ্কুর গুপ্ত আহত হয়েছেন। অ্যাসিস্ট্যান্ড ডিরেক্টর রাজকুমার রাম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আমার চাই না ইডির কেউ আহত হন, আমরা তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। কিন্তু এতো বিস্ময়কর তথ্য সামনে আসছে। ইডির যাঁকে ঘিরে বিজেপির এত কুম্ভিরাশ্রু রাজকুমার রাম, সেই রাজকুমার রামের বিরুদ্ধেই তো সিবিআই তদন্ত চলছে। ইডির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর রাজকুমার রাম, যিনি নাকি তৃণমূলের কোনও নেতার দুর্নীতি ধরতে সাতসকালে বাড়ি গিয়ে বাঁস দিয়ে তালা ভাঙছিলেন, এখন দেখা যাচ্ছে রাজকুমার রামের বিরুদ্ধেই সিবিআই তদন্ত চালাচ্ছে।
কোন বিষয়ে তদন্ত?
এবার প্রশ্ন হচ্ছে ইডির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে কোন বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই? এরও উত্তর দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। কুণাল বলেন, ‘আইপিসি ১০৯, ১২০বি-এর পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে অভিযুক্ত করা হয়েছে রাজকুমার রামকে। তাহলে তৃণমূলের বাড়িতে রেইড করতে যাচ্ছেন কে? ইডির অফিসার। কোন ইডির অফিসার? যাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছে। কে দুর্নীতির অভিযোগে এফআইআর করেছে? সিবিআই। এটা কী করে সম্ভব?
কী অভিযোগ ইডি অফিসারের বিরুদ্ধ?
এদিন সেই এফআইআর-এর প্রতিলিপিও সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূল নেতা দাবি করেন, ‘২০১৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২০ সালে ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিজের নামে বা নিজের পরিবারের নামে যত সম্পত্তি এই রাজকুমার রাম তৈরি করেছেন, তার সঙ্গে তাঁর আয়ের অসঙ্গতি রয়েছে। এটা তো বিচিত্র ওয়াশিং মেশিন।’
কুণাল রীতিমতো কটাক্ষ করে বলেন, ‘সিবিআই-এর এফআইআর-এ নাম নাম থাকা শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না, আর সিবিআই-এরই এফআইআর-এ নাম থাকা অপর এক অফিসারকে তৃণমূলের বাড়িতে তদন্তে পাঠাচ্ছে।’ কুণাল বলেন, ‘আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি, কেন্দ্র আগে জবাব দিক, ইডি আগে জবাব দিক, সিবিআই-এর এফআইএর-এ নাম থাকা একজন অফিসার কী করে তদন্তের কাজে যুক্ত থাকতে পারেন? এটা আগে ইডিকে পরিষ্কার করতে হবে যে এই রাজকুমার রাম কি সেই রাজকুমার রাম, যাঁর নামে সিবিআই তদন্ত করছে। যদি হয়ে থাকে থাকে, তাহলে তিনি কী ভাবে তদন্তের কাজ করছেন?’ কুণালের এদিনের এই দাবিকে ঘিরে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিকমহলে।