এই সময়, বনগাঁ: রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডি-র জালে পড়তেই তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে। সোনা থেকে জালনোট পাচার, এমনকী, খুনের মামলাতেও শঙ্কর ওরফে ডাকুর নাম উঠেছিল বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের। অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অন্যের জমি দখল থেকে শুরু করে বাড়ি হাতিয়ে নিয়েছেন শঙ্কর ও তাঁর দলবল। খেলার মাঠ দখল করে ফেঁদে বসেছিলেন ইমারতি ব্যবসাও।
বনগাঁর দীর্ঘদিনের বাসিন্দারা বলছেন, ‘এখন যাঁর এত প্রতিপত্তি, সেই শঙ্করই আগে চা বিক্রি করতেন। ওঁর বাবার চায়ের ব্যবসা ছিল। পরে বাংলাদেশ সীমান্তে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় এজেন্সির একটি অফিসের কর্মী হিসেবে কাজে যোগ দেন। এর পরই ধীরে ধীরে উত্থান শঙ্করের।’
বনগাঁর দীর্ঘদিনের বাসিন্দারা বলছেন, ‘এখন যাঁর এত প্রতিপত্তি, সেই শঙ্করই আগে চা বিক্রি করতেন। ওঁর বাবার চায়ের ব্যবসা ছিল। পরে বাংলাদেশ সীমান্তে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় এজেন্সির একটি অফিসের কর্মী হিসেবে কাজে যোগ দেন। এর পরই ধীরে ধীরে উত্থান শঙ্করের।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, নিজের নামে লাইসেন্স নিয়ে মুদ্রা বিনিময়ের ব্যবসা শুরু করেন শঙ্কর। বেআইনিভাবে সোনা পাচার করতে গিয়ে তাঁর নাম পুলিশের কাছে আসে বলেও দাবি স্থানীয়দের। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চোরাচালানে একসময়ে ‘ধুর’ সিন্ডিকেটের নাম উঠেছিল। সেই সিন্ডিকেটেও নাম জড়ায় শঙ্করের।
কংগ্রেসের টিকিটে জিতে বনগাঁ পুরসভার কাউন্সিলার হয়েছিলেন তিনি। পরে তৃণমূলে যোগ দেন। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় শুধু চেয়ারম্যান পদ লাভ নয়, বনগাঁয় তৃণমূলের একাধিক সংগঠনের মাথায় বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল শঙ্করকে। জোড়াফুলের পুরোনো কর্মীদেরও অনেকে সেটা ভালো চোখে দেখেননি।