গত শুক্রবার সকালে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে যান ED আধিকারিকরা। তাঁকে একাধিকবার ডাকাডাকি করা হলেও দরজা খোলেননি তিনি। এরপর কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা দরজা ভাঙতে গেলে শাহজাহানের অনুগামীরা ED আধিকারিকদের দিকে তেড়ে যান। আহত হন একাধিক ED আধিকারিক।
এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যজুড়ে। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। তিনি বলেন, ‘আইন ভাঙলে তাঁদের বিরুদ্ধে কথা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ডিজিপির এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য,শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালে ৬ জুন বিজেপির তিন জনকে খুন করে দেহ লোপাট করে দেওয়া হয়। প্রদীপ মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডল। CID তদন্ত হয়। দুটি FIR হয়। দুটি মামলাকেই মূল অভিযুক্ত ছিলেন শাহজাহান শেখ। একটি মামলার CID তদন্ত হওয়ার পর সেই মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়। সেখানে শেখ শাহজাহানের নাম ছিল না।’
সন্দেশখালিতে দুই মহিলা তাঁর কাছে নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেছিলেন। তিনি ওই দুই পরিবারের নয় জনকে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছেন বলে জানান। পুলিশের চার্জশিটকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শেখ শাহজাহান এই ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা। তাঁকে খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে তাঁর একটি অডিয়ো বার্তা সামনে এসেছে। শেখ শাহজাহানের এলাকায় প্রতিপত্তি, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ রীতিমতো চোখ কপালে তুলেছে তদন্তকারীদের।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে পারেন তিনি। আর এই কারণে বিএসএফকেও সতর্ক করা হয়েছে। এভাবে ইডির উপর হামলা কার্যত নজিরবিহীন বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনার পর রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিকে ডিজিপির নিয়োগ নিয়ে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘যাঁর বিরুদ্ধে মামলা ঝুলছে তাঁকেই রাজ্য সরকার ডিজিপি করেছে।’