সোমবার সন্ধ্যার ওই ঘটনায় বিমানটির যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। তবে কোনও বিপর্যয় হয়নি। পরে, রাত ৮টা নাগাদ ওই সংস্থারই অন্য একটি বিমানে সব যাত্রীকে ভুবনেশ্বরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, কলকাতা থেকে ওড়ার কিছুক্ষণ পর বিমানটি যখন মাঝ আকাশে, তখন হঠাৎই যাত্রীরা ঝাঁকুনি অনুভব করেন এবং বিমানের ঠিক বাইরে একটি বিস্ফোরণ ঘটার মতো শব্দ পান। আতঙ্কে কেবিন ক্রু-রা খাবার পরিবেশন ছেড়ে নিজেদের সিটে গিয়ে বসেন। তাঁরা সিট বেল্ট বেঁধে নিতে বলেন যাত্রীদের। বিমানে তখন আতঙ্ক। তার কিছুক্ষণ পর পাইলট ঘোষণা করেন, বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে, তাই কলকাতায় ফেরা হচ্ছে।
এ দিন সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে বিমানটি কলকাতায় অবতরণ করলে সংস্থার কর্মী, ইঞ্জিনিয়াররা ট্যাক্সি বে-তে ছুটে যান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য। যদিও যাত্রীদের বিমান থেকে নামতে দেওয়া হয়নি। তাঁদের বলা হয়, অযথা আতঙ্কিত না-হয়ে অপেক্ষা করতে। প্রায় ৪৫ মিনিট পর যাত্রীদের বাইরে বার করে আনা হয়। রাত ৮টা নাগাদ অন্য একটি বিমানের বন্দোবস্ত করা হয় সব যাত্রীর জন্য।