কী জানা যাচ্ছে?
বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে পথ অবরোধ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তীব্র যানজট বেলঘরিয়া এক্সপ্রেস এর দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার দিকে রাস্তা পুরোপুরি অবরুদ্ধ। স্থানীয়দের অভিযোগ, কোনওরকম নোটিশ ছাড়াই তাদের ঘর উচ্ছেদে আসে হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ এরই প্রতিবাদ জানিয়ে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসে অবরোধ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
কী অভিযোগ স্থানীয়দের
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে জুড়ে কাজ চলছে। একাধিক জায়গায় রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য উচ্ছেদের কাজ চলছে। মঙ্গলবার এক্সপ্রেসওয়ের কাছে বস্তি উচ্ছেদ করতে গিয়েই সমস্যায় পড়েন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, আমাদের আগে থেকে না জানিয়েই হঠাৎ করেই উচ্ছেদ করতে শুরু করা হয়েছে। আমরা এখন কোথায় যাব? আমাদের কিছুদিন সময় না দিয়ে এভাবে উচ্ছেদ করা যাবে না।
রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ
দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক, ঘোষপাড়া রোড ও বি টি রোডের (B.T Road) বিকল্প হিসেবে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে আমূল সংস্কারের কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার। তিনটি পর্যায়ে এর কাজ হবে। এর মধ্যে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে বিরাটি পর্যন্ত ১.৬ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি উড়ালপুল তৈরি করা হবে। এরপর বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে সোদপুরের মুড়াগাছা মোড় পর্যন্ত রাস্তা হবে। সেই রাস্তা ছ’লেন করার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া মুড়াগাছা মোড়ে তৈরি হচ্ছে আরও একটি উড়ালপুল। এই অংশটি দৈর্ঘ্য ৫.৮ কিমি। তবে গাড়ি চলাচলের রাস্তার পাশাপাশি ছ’লেন রাস্তার পাশেই স্থানীয় মানুষের হাঁটাচলা ও যান চলাচলের জন্য সার্ভিস রোড তৈরি করা হচ্ছে। ছ’লেনের রাস্তা এবং ১৮টি ফ্লাইওভার তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
গোটা প্রকল্পে ১,৭২০ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। এই রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শেষ হলে উত্তরবঙ্গ থেকে সরাসরি কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে থেকে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে চলে আসা যাবে। রাজ্যের পরিবহণ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এই কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই কাজের জন্য বেশ কিছু জায়গায় বস্তি, অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদের কাজ চলছে।