মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি এই লাইন পরিদর্শন করেছেন। একটি ট্রলিতে করে নোয়াপাড়া থেকে পরিদর্শন শুরু করেন তিনি। খতিয়ে দেখেন ভায়া-ডাক্ট, ব়্যাম্প, ট্র্যাক-সহ বিভিন্ন দিকগুলি। নোয়াপাড়ায় মেট্রোর ঊর্ধ্বতন কর্তাদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও করেন তিনি। কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তোষপ্রকাশ করেছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে মেট্রো রেলওয়ের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর লাইনে নোয়াপাড়া থেকে দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে পরিষেবা শুরু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই পরিষেবা চালু হলে মেট্রোর উত্তর-দক্ষিণ করিডোরের সঙ্গে নোয়াপাড়া-বারাসত লাইনের সংযোগের সূচনা হবে। প্রসঙ্গত, মেট্রোর এই হলুদ লাইনে নোয়াপাড়ার পর প্রস্তাবিত যে স্টেশনগুলি রয়েছে সেগুলি হল দমদম ক্যান্টনমেন্ট, যশোর রোড, জয় হিন্দ (এনএসসিবিআই এয়ারপোর্ট), বিরাটি, মাইকেল নগর, নিউ ব্যারাকপুর, মধ্যমগ্রাম, হৃদয়পুর ও বারাসত।
যদিও যাত্রীদের অনেকেই মনে করছেন, মাত্র ২টি স্টেশনের মধ্যে এই মেট্রো চালু করে খুব বেশি লাভ হবে না। বরং মেট্রোর এইটি রুটটি বিমানবন্দর পর্যন্ত সম্প্রসারিত হলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন। প্রসঙ্গত, প্রায় একযুগ আগে নোয়াপাড়া থেকে বারাসত পর্যন্ত মেট্রো প্রকল্প তৈরির পরিকল্পনার কথা সামনে আসে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এতদিন সেই কাজে খুব বেশি গতি আসেনি। সেক্ষেত্রে এবার এই দু’টি স্টেশনের মধ্যে পরিষেবার চালু হওয়ার বিষয়ে ইঙ্গিত পাওয়া গেল।
শহর কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী শহরতলির মানুষের নিত্য যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম মেট্রো রেল। প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ মেট্রোয় যাতায়াত করেন। বর্তমানে শহরে একাধিক রুটে পাওয়া যায় মেট্রো পরিষেবা। তবে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় উত্তর-দক্ষিণ লাইনে। আরও বেশি মানুষকে মেট্রো পরিষেবার আওতায় আনার জন্য চলছে কবি সুভাষ-বিমানবন্দর মেট্রো করিডোরের কাজ। একইসঙ্গে ইস্ট-ওয়েস্ট ও জোকা-এসপ্ল্যানেড লাইনেও সম্প্রসারণের কাজ করছে মেট্রো। তারই মধ্যে এবার বছরের শুরুতেই নতুন করিডোর চালুরও ইঙ্গিত পাওয়া গেল।