কী জানা যাচ্ছে?
বলাগড় বিধায়ক বনাম যুবনেত্রীর দ্বন্দ্ব মেটাতে জেলার তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক। বৈঠক শেষে দাবি, একই পরিবারে এমন দ্বন্দ্ব হয়। তৃণমূল পরিবার বড় হয়েছে। তাই ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল দাবী অসীমার।ছেলেমানুষী ঝগড়া বললেন অরিন্দম। এক সাথে চলার মন্ত্র দেওয়া হয়েছে দু’জনকে। আজকের মিটিং সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে বলেও দাবি জেলা নেতৃত্বের।যে অভিযোগ উঠেছিল তার কোনও সারবত্তা নেই বলেও দাবি।
কী বললেন যুবনেত্রী?
স্থানীয় যুবনেত্রী রুনা খাতুন বলেন, ‘বলাগড় ব্লকের যারা তৃণমূল প্রতিষ্ঠা করেছেন সবার লক্ষ একটাই দলের অনুশাসন মেনে চলা। দলকে শক্তিশালী করা। দলের জন্য আমি জেলা পরিষদ সদস্য হয়েছি। তাই দলের অনুশান সবার আগে। মনোরঞ্জন ব্যাপারীর বিরুদ্ধে বলাগড় থানায় যে অভিযোগ করেছিলেন সেটা দলের ভিতরে আলোচনা হয়েছে কী হবে তা নিয়ে।
মনোরঞ্জন কী বললেন?
মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, ‘আজকে জেলা নেতৃত্ব আমাদের নিয়ে বসেছিলেন। দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা শিরধার্য।’ তিনি জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে ধূলো থেকে তুলে সোনার মত মূল্যবান বানিয়েছেন। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ। মহাশ্বেতা দেবীর সঙ্গে থেকে সিঙ্গুর আন্দোলনে বাইরে থেকে ছিলাম। যতদিন বাঁচব দিদির লড়াই এ থাকব। আমি মমতার অনুগামী।
গত ৪ জানুয়ারী বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর কার্যালয় ভাঙচুর হয়। তার আগে যুবনেত্রী রুনা খাতুনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে অকথ্য ভাষায় আক্রমন করেন বিধায়ক। বেশ কিছুদিন ধরে যুবনেত্রী বনাম বিধায়কের লড়াই এ উত্তপ্ত ছিল বলাগড়। দ্বন্দ্ব কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি এমন ব্যক্তিগত পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে বিধায়ক, রুনা ও তাঁর স্বামী অরিজিৎকে দুর্নীতিতে লাগাতার আক্রমণ করতে থাকেন। বিধায়কের অফিস ভাঙচুর হয়, রুনা বলাগড় থানায় বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এতকিছুর পর দল হস্তক্ষেপ করে।
মঙ্গলবার বলাগড় বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী ও যুব নেত্রী রুনা খাতুনের দ্বন্দ্ব মেটাতে তৃনমূলের ম্যারাথন বৈঠক হয়। ত্রিবেনীর বিটিপিএস গেস্ট হাউসে বৈঠকে ছিলেন জেলা চেয়ারপারসন অসীমা পাত্র, সভাপতি অরিন্দম গুঁইন, মনোরঞ্জন ব্যাপারী, রুনা খাতুন,বলাগড়ের প্রাক্তন বিধায়ক বর্তমান জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ অসীম মাঝি, মহিলা তৃনমূল সভানেত্রী শিল্পী চট্টোপাধ্যায়,বলাগড় ব্লক তৃনমূল সভাপতি নবীন গাঙ্গুলী সহ বকাগড় ব্লক তৃনমূল নেতৃত্ব।