প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক মাস ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এর আগে গত ডিসেম্বর মাসে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসএসকেএম-এ পৌঁছেছিল জোকা ইএসআই হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্স। কিন্তু সেই দিন এসএসকেএম-এর চিকিৎসকরা জানান, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়, তাই তাঁকে হাসপাতাল থেকে বের করা যাবে না৷ পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ সেখানে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলার রূদ্ধদ্বার শুনানি হয়৷ শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ইডি-র কর্তা এবং জোকা ইএসআই-এর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা৷ এই শুনানির পরেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বের করার তৎপরতা শুরু হয়৷
এরপর গত বুধবার রাতে জোকা ইএসআই হাসপাতালে ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর ৩টে ২০ নাগাদ তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন ‘কাকু’র আইনজীবী। ‘কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি ডিভিশন বেঞ্চে বলেন, ‘সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে মামলায় যুক্ত না করেই কণ্ঠস্বর পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা দেওয়া যায় না।’ সেই মামলার শুনানিতেই এদিন এই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গতবছর মে মাসে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর দেওয়া উত্তরে সন্তুষ্ট না হওয়াতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সুজয়কৃষ্ণর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েও বেশকিছু নথিপত্র উদ্ধার করে ইডি। বাজেয়াপ্ত করা হয় মোবাইল ফোন। আর সেই সূত্র ধরেই আরও কয়েকজনেক জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির আধিকারিকরা। তাঁদের বয়ানের প্রেক্ষিতেই জিজ্ঞাসাবাদ ও পরে গ্রেফতার করা হয় সুজয়কৃষ্ণকে। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা নিয়ে চর্চা চলছিল। আর এদিন ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেতে হল ‘কাকু’কে।