এই সময়, জয়নগর: ১৩ নভেম্বর সকালে বাড়ির কাছে মসজিদে নমাজ পড়তে যাওয়ার সময় আততায়ীদের গুলিতে খুন হয়েছিলেন জয়নগরের বামুনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি তথা তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সাইফুদ্দিন লস্কর। শাসক দলের পক্ষ থেকে খুনের দায় চাপানো হয় সিপিএমের দিকে।
সেদিন আততায়ী সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে খুন করার পাশাপাশি বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের দলুয়াখাকি গ্রামের সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের একের পর এক বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে ওঠে।
সেদিন আততায়ী সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে খুন করার পাশাপাশি বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের দলুয়াখাকি গ্রামের সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের একের পর এক বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে ওঠে।
দলুয়াখাকিতে ছুটে যান শুভেন্দু অধিকারী, সুজন চক্রবর্তীরা। এ দিন সেই দলুয়াখাকি থেকে সাত কিলোমিটার দূরে জয়নগর-১ বিডিও অফিস সংলগ্ন বহড়ু হাইস্কুল মাঠে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে সোচ্চার হন। তবে দলুয়াখাকির ঘটনা সম্পর্কে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি।
তাতেই ক্ষুব্ধ ও হতাশ দলুয়াখাকির ক্ষতিগ্রস্ত সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের পরিবারগুলি। তাঁদের একজন হালিমা বিবি লস্কর বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী তো সবার। তিনি যদি বগটুইতে যেতে পারেন, তা হলে দলুয়াখাকি আসতে পারলেন না কেন?’