বিচারপতি মনে করছেন, এই তিন জন নতুন আবেদনের নামে মামলা বিলম্বিত করার চেষ্টা করছেন। হাইকোর্টের আরও নির্দেশ, এই তিন জনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে চার্জ গঠন করতে হবে এবং দ্রুত মূল বিচার বা ট্রায়াল শুরু করতে হবে।
প্রাথমিকে নিয়োগ-দুর্নীতির একটি মামলায় গত ২১ ডিসেম্বর মুখবন্ধ খামে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল সিবিআই। মঙ্গলবার সেই রিপোর্ট পড়ে দেখেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সিবিআই জানিয়েছে, গত ১৮ মে তাপস, কুন্তল এবং নীলাদ্রির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চার্জগঠন হয়নি। কারণ জানতে চায় হাইকোর্ট।
সিবিআইয়ের কৌঁসুলি বিল্বদল ভট্টাচার্য জানান, গত নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে নিম্ন আদালতে এই তিন জনের করা বিভিন্ন আবেদন বিচারাধীন থাকায় চার্জগঠন করা যায়নি। ১৪ জানুয়ারির আগেই এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হবে বলেও জানায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সির মতে, দুর্নীতিতে এই দু’জন খুবই গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
হাইকোর্টের নির্দেশ, এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দু’জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করার পর যদি ওই দু’জন মনে করেন তাঁরা কোনও নথি পাননি–তা হলে তার জন্যে ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন জানাতে হবে। এই দু’জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ হওয়ার পর দ্রুত চার্জ গঠন করতে হবে। ১১ জানুয়ারি হাইকোর্টে হবে পরবর্তী শুনানি।