বিকালে একটি ফেসবুক পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘কাল আমি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলাম। যেখানে আমি বলেছিলাম যে বা যাঁরা ছোটখাটো প্রাইভেট সেক্টরে কাজ করেন বা বেকার হয়ে বসে আছেন তাঁরা আমাকে প্লিজ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবেন না। এই পোস্ট করে আমি প্রাইভেট সেক্টর, ছোট কাজ করেন বা কোনও কারণে চাকরি পাননি, তাঁদেরকে ছোট করতে বা দুঃখ দিতে চাইনি। তা সত্ত্বেও যদি কেউ ভাবেন আমি তাঁকে কষ্ট দিয়েছি তবে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। এটা নিয়ে মিডিয়ার অহেতুক অ্যাক্টিভিটি কাম্য নয়।’
যদিও সকাল থেকে তাঁর এই পোস্টের পিছনে একের পর এক যুক্তি দিয়ে গিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। WBCS অফিসারদের নানান গ্রুপে বুধবার দিনভোর বিষয়টি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। সবমহলেই বিষয়টির নিন্দা করা হয়েছে। তাঁর ক্ষমা চাওয়ার পরেও অনেকের প্রশ্ন, ‘এ কেমন ক্ষমা চাওয়ার ধরন? এই পোস্টে পরিষ্কার তিনি এখনও তাঁর ভুল মানতে পারছেন না। কারও যদি খারাপ লাগে তবে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। কেন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।’
ইতিমধ্যেই তাঁর নানান পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। একটি পোস্টের তলায় তিনি কমেন্ট করেছেন, ‘…কিছু আন-এমপ্লয়েড ছেলে মেয়ে আছে ওঁরা একজন সরকারি অফিসারকে কতটা সম্মান দিতে হয় জানে না। গুড মর্নিং বা গুড নাইট উইশ করলে তাঁর উত্তর দিতে হয় সেটাও জানে না। সংসার চালানোর মতো সৎভাবে আয় করার যোগ্যতা নেই, কেন এত অ্যাটিটুইড থাকবে? বিশেষত কিছু মেয়ে আছে যাঁদের কাছে লুচ্চা লোফার ছেলে আর প্রতিষ্ঠিত একজনের মধ্যে কোনও ফারাক নেই। তাঁরা সবাইকে একইভাবে ট্রিট করে।’

সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল তাঁর এই পোস্ট।
জেলায় জেলায় বহু বছর ধরে বহু WBCS অফিসাররা বেকার যুবক যুবতিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ-প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে আসছেন। ছক ভেঙে কেউ কেউ আবার বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বও করে নিয়েছেন। সরকারি চাকরি পেতে ‘বেকার’-দের সাহায্য করেন বহু অফিসার। সেখানে একজন WBCS- গ্রুপ সি অফিসারের এমন পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এই সময় ডিজিটালে-র পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ফোন করা হয়েছিল তাঁকে। প্রশ্ন শুনে মেজাজ হারিয়েই বলেছিলেন, ‘কার রিকোয়েস্ট আমি গ্রহণ করব সেটা আমার নিজস্ব ব্যাপার। এটা আমি লিখতেই পারি।’