Wbcs Officer In West Bengal,বন্ধুত্ব বিতর্ক ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা, এই সময় ডিজিটালের খবরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন সেই WBCS অফিসার – wbcs officer prasun kumar chatterjee apologize through facebook post for his comment


অবশেষে নিজের করা কুরুচিকর পোস্ট নিয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন বাঁকুড়ার সেই WBCS গ্রুপ সি অফিসার। বুধবার সকালেই ফেসবুক পোস্ট করে তিনি লিখেছিলেন, ‘প্রাইভেট কোম্পানিতে ছোটখাটো কাজ করেন বা বেকার হয়ে বাড়িতে বসে আছেন, এমন কেউ প্লিজ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবেন না।’ এই সময় ডিজিটালে প্রথম এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে ওই অফিসার বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে ফেসবুক পোস্ট করেন। তবে সেখানেও সংবাদমাধ্যমকে পাঠ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি এর ঠিক আগের পোস্টেই তিনি মন্তব্য করেছেন, ‘সরকারি চাকরি যাঁরা পাননি তাঁদের কয়েকজনের সরকারি চাকুরিজীবীদের প্রতি আক্রোশ রয়েছে। হিংসে নয়, চেষ্টা করুন।’ সমাজ মাধ্যমে সরকারি অফিসার থেকে কর্মীরা, বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত অনেকেই, এই সব মন্তব্য নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

বিকালে একটি ফেসবুক পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘কাল আমি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলাম। যেখানে আমি বলেছিলাম যে বা যাঁরা ছোটখাটো প্রাইভেট সেক্টরে কাজ করেন বা বেকার হয়ে বসে আছেন তাঁরা আমাকে প্লিজ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবেন না। এই পোস্ট করে আমি প্রাইভেট সেক্টর, ছোট কাজ করেন বা কোনও কারণে চাকরি পাননি, তাঁদেরকে ছোট করতে বা দুঃখ দিতে চাইনি। তা সত্ত্বেও যদি কেউ ভাবেন আমি তাঁকে কষ্ট দিয়েছি তবে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। এটা নিয়ে মিডিয়ার অহেতুক অ্যাক্টিভিটি কাম্য নয়।’


যদিও সকাল থেকে তাঁর এই পোস্টের পিছনে একের পর এক যুক্তি দিয়ে গিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। WBCS অফিসারদের নানান গ্রুপে বুধবার দিনভোর বিষয়টি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। সবমহলেই বিষয়টির নিন্দা করা হয়েছে। তাঁর ক্ষমা চাওয়ার পরেও অনেকের প্রশ্ন, ‘এ কেমন ক্ষমা চাওয়ার ধরন? এই পোস্টে পরিষ্কার তিনি এখনও তাঁর ভুল মানতে পারছেন না। কারও যদি খারাপ লাগে তবে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। কেন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।’

ছোটখাটো চাকুরে বা বেকারদের সঙ্গে বন্ধুত্ব নয়, ‘তালেবর’ WBCS অফিসারের পোস্টে বিতর্ক
ইতিমধ্যেই তাঁর নানান পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। একটি পোস্টের তলায় তিনি কমেন্ট করেছেন, ‘…কিছু আন-এমপ্লয়েড ছেলে মেয়ে আছে ওঁরা একজন সরকারি অফিসারকে কতটা সম্মান দিতে হয় জানে না। গুড মর্নিং বা গুড নাইট উইশ করলে তাঁর উত্তর দিতে হয় সেটাও জানে না। সংসার চালানোর মতো সৎভাবে আয় করার যোগ্যতা নেই, কেন এত অ্যাটিটুইড থাকবে? বিশেষত কিছু মেয়ে আছে যাঁদের কাছে লুচ্চা লোফার ছেলে আর প্রতিষ্ঠিত একজনের মধ্যে কোনও ফারাক নেই। তাঁরা সবাইকে একইভাবে ট্রিট করে।’

facebook post.

সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল তাঁর এই পোস্ট।

জেলায় জেলায় বহু বছর ধরে বহু WBCS অফিসাররা বেকার যুবক যুবতিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ-প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে আসছেন। ছক ভেঙে কেউ কেউ আবার বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বও করে নিয়েছেন। সরকারি চাকরি পেতে ‘বেকার’-দের সাহায্য করেন বহু অফিসার। সেখানে একজন WBCS- গ্রুপ সি অফিসারের এমন পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এই সময় ডিজিটালে-র পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ফোন করা হয়েছিল তাঁকে। প্রশ্ন শুনে মেজাজ হারিয়েই বলেছিলেন, ‘কার রিকোয়েস্ট আমি গ্রহণ করব সেটা আমার নিজস্ব ব্যাপার। এটা আমি লিখতেই পারি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *